কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় এক ‘ভুয়া চিকিৎসককে’ তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া বিভিন্ন অসংগতি থাকায় ওই ব্যক্তির মালিকানাধীন হাসপাতালটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই কথিত চিকিৎসকের বাসায় চেম্বার ও রোগীর বেড ফেলে হাসপাতাল বলে চালানো হচ্ছে। শনিবার উপজেলার জোয়াগ ইউনিয়নের কৈলাইন পুরাতন বাজার সংলগ্ন লক্ষীপুর মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালটি পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাবের মো. সোয়াইব। উপজেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ডা. পদবী ব্যবহার ও রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দেয়ায় খলিলুর রহমান পলাশকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ ও সরকারি ওষুধ বিক্রি, সেবা গ্রহীতার জীবন বিপন্নকারী কাজ, টেকনিশিয়ান ছাড়া যন্ত্রাংশ চালানো, ফ্রিজে মেডিকেল রিএজেন্টের সাথে খাবার রাখা, বাসায় চেম্বার ও রোগীদের বেড, বজ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক খলিলুর রহমান পলাশকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আরিফুর রহমান, জুনিয়র কনসালটেন্ট মোস্তফা মনোয়ার কৌশিকসহ চান্দিনা থানা পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে অভিযানে মাধাইয়া জেনারেল হাসপাতাল, লক্ষ্মীপুর নতুন বাজারের জিএম মেডিকেল সেন্টার, বদরপুর পশ্চিম বাজারের জয় মেডিকেল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার কারণে সিলগালা করা হয়েছে। ইউএনও জাবের মো. সোয়াইব বলেন, বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ। উপজেলা প্রশাসনকে জানালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
0 Comments
Your Comment