জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বহিরাগত এক মোবাইলের কারিগরকে তুলে নিয়ে গিয়ে ছিনতাই করার সময় শিক্ষার্থীসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল চারটার দিকে জাবি স্কুল ও কলেজ সংলগ্ন মাঠের ঢাল থেকে তাদের আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তারা। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টার দিকে তাদের আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটক জাবি শিক্ষার্থী অর্ণব বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাট জেলায় অবস্থিত। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। আটক আরেকজনের নাম রোমিও রাজু। তিনিও আমবাগান এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। রাজু খাগাইনের সিটি ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে, ভুক্তভোগী ওমর আলী আশুলিয়ার আমতলা বাজারে মোবাইলের কারিগরির কাজ করেন। ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, ওমর আলীর দোকানে ৪ মাস আগে হৃদয় নামে একজন পুরোনো মোবাইল ঠিক করতে আসেন। তখন থেকে হৃদয়ের সাথে ওমরের ব্যবসায়িক সম্পর্ক। সবশেষ মঙ্গলবার দুপুরে ওমরকে তার দোকান থেকে হৃদয় ও অভিযুক্ত রাজু, অর্ণব এবং অজ্ঞাত ২ জন মিলে জোরপূর্বক জাবি ক্যাম্পাসে নিয়ে যায়। এরপর হত্যার ভয় দেখিয়ে ওমরের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে টাকা দিতে রাজি না হলে ওমরকে মারধর করেন তারা। এসময় নিয়মিত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে মাঠে নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তারা গেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তদের ৩ সদস্য। সেই সময় রাজু ও অর্ণবকে চাপাতিসহ হাতেনাতে ধরেন নিরাপত্তাকর্মীরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বহিরাগত একজনকে অপহরণ করে ছিনতাইকালে অভিযুক্তদের হাতেনাতে ধরা হয়েছে। তাদেরকে আমরা আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূরুল আলম বলেন, জাবিতে ছিনতাই করতে গিয়ে দুইজন ধরা পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আটককৃতদের থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 Comments
Your Comment