চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে একটি ক্লিনিকে হাফিজা খাতুন (৩৫) নামে এক সেবিকাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) জীবননগর পৌর এলাকার ‘মা নার্সিং হোম’ নামের ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাবিদ হাসান স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, শনিবার রাতে ক্লিনিকের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে মারাত্মক জখম অবস্থায় হাফিজা খাতুনকে দেখতে পান সহকর্মীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী কবির হোসেন পলাতক রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে হত্যার সাথে তার স্বামী জড়িত থাকতে পারে। ক্লিনিক মালিক জাকির হোসেন বলেন, আমি ব্যক্তিগত কাজে ঢাকাতে আছি। শুনেছি শনিবার সকালে হাফিজার স্বামী ক্লিনিকে আসেন। এরপর ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে তিনি চলে যান। রাতে খবর পাই হাফিজা খুন হয়েছেন। ওসি আরও জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। ঘটনার তথ্য অনুসন্ধানে কাজ করছে পুলিশ। নিহত হাফিজা খাতুন জীবননগর বালিহুদা গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী।
0 Comments
Your Comment