বরিশালে পৃথক ধর্ষণ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

বরিশালে ধর্ষণের পৃথক দুটি মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দণ্ডিতদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন মঙ্গলবার বিকেলে এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি ট্রাইব্যুনালে অনুপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-বরিশাল নগরীর কেরানী বাড়ির পুল মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি বাড়ির ভাড়াটিয়া ও ভোলা সদর থানার বেলুমিয়ার চর এলাকার বাসিন্দা মো. সোহাগ এবং উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের বারইকান্দি এলাকার খলিল হাওলাদার। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী হুমায়ন কবির জানান, ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল বরিশাল নগরীর কেরানী বাড়ির পুল সংলগ্ন এক ভাড়াটিয়া ঘরে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন মো. সোহাগ। এ ঘটনায় সোহাগকে অভিযুক্ত করে ১ মে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করেন কিশোরীর বাবা। ওই বছরের ২৭ জুলাই সোহাগকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দেন কোতয়ালী মডেল থানার এসআই আবু তাহের। পরে ট্রাইব্যুনালে ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষী প্রমাণে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মো. সোহাগকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ট্রাইব্যুনাল। এদিকে, ২০০৫ সালের ১ এপ্রিল বারইকান্দি গ্রামে এক শিশুকে ধর্ষণ করে একই বাড়ির বাসিন্দা খলিল হাওলাদার। এ ঘটনায় ৯ এপ্রিল খলিল হাওলাদারকে অভিযুক্ত করে উজিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন নির্যাতিতের বাবা। একই বছরের ২০ জুন খলিলকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দেন উজিরপুর মডেল থানার এসআই মামুন অর রশিদ। পরে ট্রাইব্যুনালে ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি খলিল হাওলাদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ওই ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী হুমায়ন কবির।

0 Comments

Your Comment

Related stories

Subscribe For

Weekly Newsletter

Subscribe to stay up-to-date on all the latest news