জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠন যুব সংহতির দুমকি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক অলিউল্লাহ হাওলাদারের (৩৫) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন এক নারী। পাশাপাশি আরো দুইজনের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন ওই নারী। গত ৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় নিয়মিত মামলা গ্রহণ এবং তদন্তের জন্য ওসিকে নির্দেশ দেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী তিন সন্তানের জননী। ১৫ বছর আগে তার স্বামী মারা যায়। এরপর তিনি সন্তানের লালন পালন করে বড় ছেলে ও মেয়েকে বিবাহ দেন, ছোট ছেলে ঢাকায় পড়াশোনা করেন। তিনি একা স্বামীর বসতভিটায় বসবাস করেন। অভিযুক্ত ১নং আসামি অলিউল্লাহর বাড়ি তার বাড়ির পাশাপাশি হওয়ায় প্রায়ই তার (চাচি) বাড়ি যাওয়া আসা করত এবং বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিত। বিগত ৬ মাস পূর্বে অলিউল্লাহ ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে তাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে এবং তা ভিডিও করে। পরবর্তিতে অলিউল্লাহ ভুক্তভোগীকে তার সাথে শারিরিক সম্পার্ক না করলে গোপন ভিডিও ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দেয়। গত ৩ মার্চ রবিবার ১নং আসামি অলিউল্লাহ ২ ও ৩ নং আসামি মো: মামুন হাওলাদার (৪০) ও মো: বেল্লাল হাওলাদারের মাধ্যমে বিয়ের কথা বলে ভুক্তভোগীকে পটুয়াখালী পৌরসভার শান্তিবাগ এলাকার মেহেদী ভিলায় নিয়ে যায়। পরে অলিউল্লাহ তাকে বিয়ে না করে হত্যা ও পূর্বের ধারনকৃত ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ফের ধর্ষণ করে। এসময় তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য জোড়াজুড়ি করলে অলিউল্লাহ তাকে মারধর করে। এ ঘটনার পর আসামি ভুক্তভোগীকে একদিন আটকে রাখে। পরবর্তীতে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর থানায় মামলা না নেয়ায় ভুক্তভোগী পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
0 Comments
Your Comment