সিঁধ কেটে চুরি নয়, ধর্ষণই ছিল মূল উদ্দেশ্য

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে ধর্ষণের পর তা চুরির ঘটনা সাজানোর চেষ্টা করেছে অভিযুক্তরা। ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য আবুল খায়ের মুন্সীকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। এরপর মো. মেহেরাজ নামে আরো একজনকে গ্রেফতারের পর এসব কথা স্বীকার করেন তারা। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিকালে আদালতে সোপর্দ করা হবে। বুধবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা পুলিশের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। এ সময় উপিস্থত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন, নাজমুল হাসান রাজীব, সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাসসহ পুলিশের কর্মকর্তারা। পুলিশ সুপার এ সময় আরো বলেন, গত ৬ ফ্রেবুয়ালী রাতে সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে ধর্ষণই মূল উদ্দেশ্য ছিল আসামিদের। পরে ধর্ষণকে ভিন্নখানে প্রবাহিত করার জন্য স্বর্ণ ও নগদ টাকা চুরি করেছে তারা। এই বিষয়ে তিনজনের নাম উল্লখে করে থানায় মামলা হলে সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। অপর এক আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার কথা স্বীকারও করেছে।

0 Comments

Your Comment

Related stories

Subscribe For

Weekly Newsletter

Subscribe to stay up-to-date on all the latest news