বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার তেতলা গ্রামে স্ত্রী বিথি রানী সমদ্দারকে (৩০) হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী সুমন রায়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর জনরোষের আশংকায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন সুমন রায়। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হাতুড়ি পেটার পর বিকেল ৪টার দিকে শের-ই বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিথি রানীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর সুমনের পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়েছেন। সুমন রায় ৫ বছর পূর্বে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার নয়াকান্দি গ্রামের বাসুদেব সমদ্দারের মেয়ে বিথী রানী সমদ্দারকে বিয়ে করেন। দাম্পত্ত জীবনে তাদের সুপ্তি রায় নামে তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তেতলা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মো. মতলেব হোসেন জানান, তেতলা গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সুধির রায়ের ছেলে সুমন রায় (৩৩) দীর্ঘদিন ধরে নিজ ঘরে কম্পিউটারে অনলাইন ব্যবসা করে আসছিলেন। এ নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে পরকীয়া সন্দেহে পরিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। রবিবার সকালে সুমন রায়ের বাবা সুধির রায় শেরে বাংলা বাজারে এবং তার মা স্কুল শিক্ষিকা বাড়ি থেকে বের হয়ে অফিসের কাজে বানারীপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যান। সকাল ১১টার দিকে দিকে সুমন রায় ও তার স্ত্রী বিথী রানীর (৩০) মধ্যে পরকীয়া সন্দেহে ঝগড়া বিবাদ হয়। এক পর্যায়ে সুমন উত্তেজিত হয়ে হাতুড়ি দিয়ে তার স্ত্রী বিথী রানীর মাথায় এলোপাথারী পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয়রা বিথীকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বিকেল ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিথিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এদিকে স্ত্রীকে পিটিয়ে মুমূর্ষ করার পর জনরোষের আশংকায় সুমন রায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশকে ঘটনা জানিয়ে সাহায্য চায়। বানারীপাড়া থানার ওসি মো. মাইনুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে দুপুরে সুমনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার স্ত্রীর লাশ সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন ওসি।
0 Comments
Your Comment