কুড়িগ্রামে গত দু’দিন ধরে কিছুটা তাপমাত্রা বাড়লেও শীতের ঠাণ্ডার প্রকোপ কমেনি। ‘মাঘের শীতে বাঘ ডাকে’ প্রবাদটি এখন সত্যে রূপ নিচেছ। শনিবার সকালে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা গত দুই দিনের চেয়ে আরও ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। ফলে তাপমাত্রা বাড়লেও শীতের ঠাণ্ডার তীব্রতা কমেনি। এরপর শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকালেও প্রচণ্ড কুয়াশায় ছেয়ে গেছে গোটা জনপদ। এ অবস্থায় মাঘের শুরুতে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠাণ্ডায় জেলার মানুষের মধ্যে নেমে এসেছে স্থবিরতা। গত এক সপ্তাহ পর শুক্রবার দুপুরের পর সূর্যের দেখা গেলেও উত্তাপ তেমন না থাকায় সাধারণ মানুষর মধ্যে স্বস্তি মিলেনি। তাপমাত্রা মৃদু শৈত্যপ্রবাহে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। এ তাপমাত্রা এভাবে বাড়তে থাকলে রবিবার আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে বলে জানায় শিক্ষা বিভাগ। এদিকে, ঠাণ্ডার প্রভাব না কমায় শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো পড়েছেন চরম বিপাকে।অনেকেই পেটের দায়ে শীতকে উপেক্ষা করে কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। কেউ কেউ বাড়ির পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীতের ঠাণ্ডা নিবারণে চেষ্টা করছেন। অপরদিকে, গবাদি পশুগুলোর ঠাণ্ডায় মারাত্মক কষ্টে পড়েছে। জেলার রাস্তার পাশে ফুটপাতে শীতের কাপড় কেনার হিড়িক পড়েছে সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষের। হাসপাতালে শিশু ও বৃদ্ধরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও অ্যাজমাসহ নানা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
0 Comments
Your Comment