কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত

ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল বাতাসে দিনাজপুরে শীত জেঁকে বসছে। হিমেল বাতাসের সঙ্গে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকে অঞ্চল। সকালের দিকে সূর্যের দেখা মিললেও কিছুক্ষণ পর পর হারিয়ে যায়। প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা। ঠাণ্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষেরা আক্রান্ত হচ্ছেন বেশী। হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপও বাড়ছে। অন্যদিকে আলু, টমেটোসহ বীজতলা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন কৃষক। বোরো বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হচ্ছে। এদিকে, দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, রবিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ ভাগ। উলিপুরের কৃষক মোস্তফা বলেন, এ এলাকায় আলুর ব্যাপক চাষ হয়। শীতের কারণে আলু নিয়ে চিন্তায় আছি। ঘন কুয়াশা আর ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে মাঠে কাজ করাই যাচ্ছে না। অনেকটা বেলায় কাজে গেলেও বিকেল হতে না হতেই বাসায় ফিরতে হচ্ছে। দিনাজপুর সদরের শশরার কৃষক আলী আকবর বলেন, ঘন কুয়াশা ও শীতে আলু এবং টমেটোসহ চাষে ফসলগুলোতে কুয়াশার প্রভাব পড়লে লেটবাইটসহ নানান রোগের আক্রমণ হয়। শীতের কারণে বোরো বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হচ্ছে। অটোরিকশা চালক ফারুক হোসেন জানান, শনিবার বিকাল থেকে যে ঠাণ্ডা বাতাস শুরু হয়েছে বেলা ১১টার পর মানুষ বাড়ি থেকে বের হলেও সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে। আগে দিনে চার থেকে পাঁচশ’ টাকা আয় হতো। শীত বেশি হওয়ায় এখন দিনে তিনশ’ থেকে চারশ’ টাকা আয় হয়। বাজারের সবকিছুর দাম বেশি তাই হিসাব মিলাতে পারছি না। জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, রবিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ। তবে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

0 Comments

Your Comment