লাইলাতুল কদর বা শবেকদর করুণাময় রবের পক্ষ থেকে মুমিন বান্দার জন্য বিশেষ পুরস্কার। এই রাত স্বল্প সময়ে অসংখ্য সওয়াব অর্জন করে নেওয়ার রাত। এই মহা নিয়ামত আল্লাহ তাআলা একমাত্র উম্মতে মুহাম্মদিকেই দান করেছেন। অন্য কোনো নবীর উম্মতকে এ সুযোগ দান করেননি। এ রাতে আল্লাহর আদেশে ফেরেশতারা রহমত, কল্যাণ ও বরকত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এ রাতের নামেই একটি সুরা অবতীর্ণ করেছেন। এ রাতের ফজিলতের জন্য এটাই যথেষ্ট। অন্য কোনো ফজিলত না থাকলেও এতটুকুই এই রজনীর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে। এ রাত সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি আল-কোরআন নাজিল করেছি কদরের রাতে। আপনি কি জানেন, কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ (সুরা : কদর, আয়াত : ১-৩) ইবাদতের মাধ্যমে এই রাত জাগরণ করলে জীবনের পাপরাশি ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে কদরের রাতে ইবাদত করবে, তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি, হাদিস : ২০১৪)
0 Comments
Your Comment