কেবল সম্পদের প্রাচুর্য, সন্তান-সন্ততির আধিক্য ও দীর্ঘ জীবন লাভ মুমিনের কাছে ‘বরকত’ নয়, যদি তা উপকারী ও কল্যাণকর না হয়। এ জন্য মহানবী (সা.) সম্পদ বৃদ্ধির দোয়া না করে প্রাপ্ত সম্পদের কল্যাণ ও সুফল বৃদ্ধির দোয়া করতেন। তিনি বলতেন, ‘আপনি আমাকে যা দিয়েছেন তার মধ্যে আমার জন্য বরকত দিন।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১৪২৫) অন্য হাদিস থেকে বোঝা যায়, কোনো কিছুতে পরিতৃপ্তি লাভ করাও বরকতের অংশ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে অনধিকার চর্চা করে কোনো কিছু গ্রহণ করল তার দৃষ্টান্ত হলো ওই ব্যক্তির মতো যে খাবার গ্রহণ করল কিন্তু তৃপ্তি পেল না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৪২৭) ইসলামী মূল্যবোধ অনুযায়ী ‘বরকত’ হলো ইহকালে ও পরকালে উত্তম জীবনের সন্ধান লাভ করা। আর সে তা লাভ করে আল্লাহর নৈকট্য, ইবাদত ও প্রার্থনার মাধ্যমে। আল্লামা ইবনুল কায়্যিম জাওঝি (রহ.) বলেন, ‘বরকতময় কাজের মাধ্যমে ব্যক্তি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং পরকালে অফুরন্ত প্রতিদান লাভ করে। আর তা হলো অন্তরের পবিত্রতা, আত্মার পরিশুদ্ধি ও উত্তম চরিত্র লাভ করা।’ (মাওয়ায়িজে ইবনিল কাইয়িম)
0 Comments
Your Comment