রমজান পালনের আদর্শ

রমজানের বিশেষ ফজিলত সম্পর্কে মুসলমানগণ অবহিত আছে। অবহিত আছে এই মাসের বিশেষ করণীয় সম্পর্কে। রসুলুল্লাহ (সা.) এই মাসটি অধিক গুরুত্বের সঙ্গে পালন করতেন। এই মাসে ইবাদত-বন্দেগিতে তিনি সময় বেশি দিতেন। কোরআন তিলাওয়াত ও দান-সদকা সবই অধিক পরিমাণে পালন করতেন। ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রসুলুল্লাহ (সা.) ভালো কাজে সব মানুষ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ছিলেন। রমজানে তিনি আরও অধিক পরিমাণে উদারতা অবলম্বন করতেন।’ (সহিহ বোখারি, হা. ১৯০২)। রমজান মাসে আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত, মাগফিরাত ও ক্ষমার অভাবনীয় অফার রয়েছে। মহানবী (সা.) এই অফার গ্রহণের জন্য সর্বপ্রকার শক্তি-সামর্থ্য ব্যয় করতেন। যুগে যুগে আল্লাহর প্রিয় বান্দাগণ তাঁর এই আদর্শ অনুসরণ করেছেন। রমজানের বরকত লাভের আশায় তারা সার্বাত্মক সাধনা করেছেন। তাদের জীবনীর দিকে তাকালে আমরা রমজান পালনের নিয়ম পদ্ধতি খুঁজে পাই। পাই রমজানের কল্যাণ লাভে ত্যাগ সাধনার সফল উদাহরণ এবং উত্তম আদর্শ। অন্তরে জাগ্রত হয় অফুরন্ত আগ্রহ-অনুপ্রেরণা। রমজানে তারা ইবাদত-বন্দেগির প্রতিযোগিতায় উপনীত হতেন। এই মাসে তাদের আমলে বসন্ত বিরাজ করত।

0 Comments

Your Comment