প্রত্যেক রোজাদারের দায়িত্ব হলো, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাতলানো পথ অনুসরণ ও অনুকরণ করে রমজানে সিয়াম-সাধনার মাধ্যমে জীবনের পাপ-পঙ্কিলতা মার্জনার পূর্ণ চেষ্টা করে আত্মার পরিপূর্ণ পরিশুদ্ধি করা। হজরত নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে রমজানে রাত জাগরণ করে (তারাবি ও তাহাজ্জুদ পড়ে), আল্লাহ তার পূর্ববর্তী সব পাপ মাফ করে দেন।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ২২০২)’। উল্লিখিত হাদিস দ্বারা উদ্দেশ্য হলো- আল্লাহর দেওয়া সব অঙ্গীকারকে সত্যজ্ঞান করে সঠিক জেনে, মনে প্রাণে বিশ্বাস করে তা বাস্তবায়ন করা এবং প্রতিটি কাজে আল্লাহর কাছে সওয়াবের প্রত্যাশা করা; একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির আশা করা, সব কাজের আগে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টির বিষয়টি স্মরণে রাখা। আল্লাহপাক সর্বাবস্থায় সব কিছু দেখেন ও জানেন এর বিশ্বাস মনেপ্রাণে লালন করা। কারণ ইয়াকিন ও বিশ্বাস একজন বিশ্বাসীর সম্মানকে উঁচু করে দেয়। তাকে সম্মানের আসনে নিয়ে যায় এবং একনিষ্ঠভাবে সিয়াম-সাধনা পালন একজন রোজাদারকে বহু পুরস্কারে ভূষিত করে। পুরস্কার পাওয়া যাবে স্বয়ং রব্বুল আলামিনের কাছ থেকে। যেমন তিনি নিজেই ইরশাদ করেছেন, ‘আসসাওমু লী ওয়াআনা আজযী বী’ রোজা আমার জন্য আমি নিজেই রোজাদারের পুরস্কার দেব। সুবহানাল্লাহু। তাই রোজা পালন হবে একমাত্র আল্লাহর জন্য, সামাজিক লজ্জার ভয়ে নয়। কারণ পারিবারিক ও সামাজিক নিয়ম হিসেবে রোজা রাখলে তাতে কোনো বরকত থাকে না। আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়া যাবে না। আমরা অনেক সময় দেখি, মানুষ অসুস্থ হলে পানাহার ত্যাগ করে, সফরেও খাবারের সংকট থাকে বিধায় হিসাব করে খাবার গ্রহণ করে। এতে রোজা পালন হয় না। মূলত রোজার উদ্দেশ্য শুধু পানাহার ত্যাগ করা নয়। রোজার মূল্য উদ্দেশ্য আল্লাহর নির্দেশ মান্য করা। তিনি যা কিছু ত্যাগ করতে বলেছেন তা ছেড়ে দেওয়া।
0 Comments
Your Comment