এক মাসের ব্যবধানে নমুনা পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ শনাক্তের হার প্রায় ৫ গুণ বেড়ে ৭.০৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ১২ ডিসেম্বর শনাক্তের হার ছিল ১.৪৭ শতাংশ। ওই দিন ৪০৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ছয়জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৩৯ জনের। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্বের বেশ কিছু দেশে কভিড-১৯-এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১-এর সংক্রমণ বাড়ায় হাসপাতালের মতো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ও কম রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। একই সঙ্গে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বাংলাদেশে এখনো করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ার খবর নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা বাড়ছে। সেসব দেশ থেকে যারা দেশে আসছেন, তারা সংক্রমিত হয়ে আসছেন কি না দেখা দরকার। এ কারণে শনাক্তের হার বাড়তে পারে। স্বাভাবিকভাবে ফেব্রুয়ারির দিকে সংক্রমণ বাড়ার কথা। এখন কেন বাড়ছে তা জানার জন্য সংক্রমিত ব্যক্তি বা তার কোনো আত্মীয় বিদেশ থেকে এসেছেন কি না অথবা এমন কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে তিনি গিয়েছিলেন কি না এ তথ্যগুলো জানা দরকার। করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় দেশে ঢিলেঢালা হয়ে গেছে স্বাস্থ্যবিধি। টিকা নেওয়ার প্রবণতাও নেই বলা যায়। কিন্তু নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১-এর আবির্ভাব ও বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশেও সংক্রমণ বৃদ্ধি উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত দেশে মোট ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৫৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ২৯ হাজার ৪৭৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৯ জনের সংক্রমণ ধরা পড়লেও সুস্থ হয়ে উঠেছেন মাত্র সাতজন।
0 Comments
Your Comment