পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকায় চাঁদাবাজি করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সঙ্গে বেঁধে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আটক ব্যক্তিকে যুবদল নেতা পরিচয়ে আরেক ব্যক্তি ছাড়াতে এলে তাকেও আটক করেন শিক্ষার্থীরা। পরে দুই ব্যক্তিকে সেনাবাহিনীর সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গতকাল বুধবার বিকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। চাঁদাবাজির অভিযোগে আটকের পর সেই ব্যক্তিকে প্রধান ফটকে বেঁধে রাখার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। তাকে ছাড়াতে আসা ব্যক্তির নাম হাসান। তিনি নিজেকে চাঁদপুর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পরিচয় দেন শিক্ষার্থীদের। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ঘাটের এক ব্যবসায়ী শিক্ষার্থীদের দেখে কিছু চাঁদাবাজের খোঁজ দেন। প্রতিবাদ করতে গেলে চাঁদাবাজরা তাদের ঘিরে ধরেন। পরে তারা সেখান থেকে সরে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানান। কিছু শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে একজনকে আটক করে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন। ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবাদ করলে চাঁদাবাজরা আমাদের আটকে গালাগাল শুরু করেন। বিষয়টি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কয়েকজন ভাইকে বলি। পরে তারাসহ সেখানে গেলে লালকুঠি ঘাট এলাকা থেকে একজনকে আটকাতে পারি। ঘটনার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সোহান বলেন, আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করছিল। শিক্ষার্থীরা আমাদের বিষয়টি জানালে সবাই মিলে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে আসি। তিনি চাঁদাবাজির কথা স্বীকার করেছেন। পরে তাকে ছাড়াতে আরেক ব্যক্তি এলে প্রথমে চাঁদাবাজের পরিচিত দাবি করলেও পরে অস্বীকার করে। এ কারণে আমরা দুজনকেই সেনাবাহিনীর কাছে তুলে দিই। বিষয়টি নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমি এ ব্যক্তিকে চিনি না।’
0 Comments
Your Comment