জাবিতে ধর্ষণ; এখনো গ্রেফতার হয়নি মূল হোতা, টর্চার সেল সিলগালা

বহিরাগত এক দম্পতিকে ডেকে এনে স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ঘটনার পরদিন থেকেই টানা বিক্ষোভ সমাবেশ, মশাল মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ধর্ষণের তৃতীয় দিনেও গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা থেকে ২টা পর্যন্ত মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। জাবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’র ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এ সময়, বক্তারা ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি, আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের বের করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলমের পদত্যাগ এবং যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত পাবলিক হেল্থ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির অব্যাহতির দাবি জানান। এসব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। মানববন্ধনে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনিছা পারভীন জলী বলেন, ধর্ষণের ঘটনার ৩ দিন পরও হল থেকে অছাত্রদের বের করা হয়নি। প্রশাসন আমাদেরকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার কথা বলে শুধুমাত্র একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। এমনকি অভিযুক্তদের সনদ স্থায়ীভাবে বাতিলের কথা থাকলেও তারা সনদ স্থগিত করে। আমরা বারবার দেখেছি উপাচার্য যেকোনো আন্দোলনের সময় আশ্বাস দিয়ে তার কথা বাস্তবায়ন করেনা। যেমনটি আমরা মাহমুদুর রহমান জনির যৌন নিপীড়নের ক্ষেত্রে দেখেছি। দেড় বছর পার হয়ে গেলেও জনিকে শাস্তি দেওয়া হয়নি। বহিরাগত নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে প্রক্টর, প্রভোস্ট না গিয়ে তারা দুজন ছাত্রলীগ নেতাকে পাঠিয়েছে অপরাধীদের ধরে আনার জন্য। এ থেকে বুঝা যায়, প্রক্টর, প্রভোস্ট তাদের পদে থাকার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছে।

0 Comments

Your Comment