পরপর দুইদিন ব্যাপক সংঘর্ষে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি)। প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় সংঘর্ষ ক্রমেই বাড়ছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিনভর প্রস্তুতি শেষে সন্ধ্যা ৭টায় তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়েছে চবি ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিএফসি ও সিক্সটি নাইন। রাত ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত তিনজন পুলিশসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৪জন গুরুতর আহত কর্মীকে চমেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার। সরেজমিনে দেখা গেছে, সিক্সটি নাইনের নেতা-কর্মীরা শাহজালাল ও সিএফসির নেতারা শাহ আমানত হলের সামনে অবস্থান নিয়ে একে অপরকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল, কাচের বোতল নিক্ষেপ করছেন। এ সময় দুই গ্রুপের অনুসারীদের নেতাকর্মীদের দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা গেছে। পুলিশ ও প্রক্টরের সামনে ৫ ঘণ্টা ধরে এই সংঘর্ষ চলছে। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে নিতে পারছে না পরিস্থিতি। এক পর্যায়ে সহকারী প্রক্টর রোকন উদ্দিন বলেন, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছে আমাদের। হার্ড লাইনে যাওয়া ছাড়া মনে হচ্ছে উপায় নেই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জয়নুল আবেদীন বলেন, আমাদের ফোর্স ঘটনাস্থলে আছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা ছাড়া আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছি না। এই সংঘর্ষের নেপথ্যে ছাত্রলীগের আধিপত্য বিস্তারের রাজনীতি ছাড়াও রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চাপে রাখার মতো এজেন্ডা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, আমাদের কাছে অতিরিক্ত পুলিশ নেই। আমরা ওসির সাথে যোগাযোগ করছি। র্যাব মোতায়েন করার জন্য আমরা জোর চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। পুলিশকে টিআর শেল নিক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। তবে ছাত্ররা বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় পুলিশ টিআর শেল নিক্ষেপে রাজি হয়নি।
0 Comments
Your Comment