রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নির্মাণাধীন ভবন ধসের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুড়ী সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে। ড. পাণ্ডে জানান, ভবন ধসের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক কামারুজ্জামান সরকারকে আহ্বায়ক এবং রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ইমরুল হাসানকে সদস্য করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেয় হয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা ব্যয় এবং যে কয়দিন তারা কর্মস্থলে থাকতে পারবেন না সেই কয়দিনের সমপরিমান অর্থ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বহন করবে। এ ব্যাপারে তারা সম্মত হয়েছেন। নির্মাণ শ্রমিকদের নিরাপত্তা সামগ্রী বিশেষ করে হেলমেট সরবরাহ করতে হবে। প্রধান প্রকৌশলী এবং প্রকল্প প্রকৌশলীরা এটা দেখভাল করবেন। এসব কাজে আঠারো বছরের নিচে শ্রমিক রাখা যাবে না। যদি এমন ঘটে তাহলে প্রকৌশল দপ্তর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি আরও জানান, বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার মধ্যে প্রধান প্রকৌশলী, প্রকল্প প্রকৌশলী এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ ঘটনার কারণ প্রতিবেদন আকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলামের নিকট জমা দিবেন। সার্বিক কাজ দেখভালের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর প্রতিমাসে কাজের অগ্রগতি বিষয়ক একটি সভা করবেন বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে এই সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সুলতান-উল- ইসলাম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, রেজিস্টার অধ্যাপক আব্দুস সালাম, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউথ, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক মোকছেদুল হক, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের প্রকৌশলীবৃন্দ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ। এর আগে, মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হলের অডিটোরিয়ামের ছাদ ধসে পড়ে। এতে ৭ জন শ্রমিক আহত হয়। তাদের অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের আওতায় ৭০ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বাজেটে এই হলের নির্মাণ কাজ চালছে। নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছেন মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।
1 Comments
cHSjNYPsV
Web Developer
Your Comment