সেই শিক্ষকের জবানবন্দি

গত ১৫ মার্চ রাতে কুমিল্লার নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকা। মৃত্যুর আগে এই শিক্ষার্থী নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তার আত্মহত্যার জন্য সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেন। এ ঘটনা প্রকাশ্যে এলে পরদিন ১৬ মার্চ রাতে অভিযুক্ত সহপাঠী আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে আটক করে পুলিশ। এদিকে, অবন্তিকা আত্মহত্যার ঘটনায় আত্মপক্ষ সমর্থন দিয়ে একটি ব্যাখ্যা দেন অভিযুক্ত শিক্ষক দ্বীন ইসলাম। নিচে তার বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো : প্রথমত আমি একজন মানুষ, দ্বিতীয়ত আমি একজন শিক্ষক, তৃতীয়ত আমি দু’জন কন্যাসন্তানের বাবা। আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারা আমার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং প্রকৃত ঘটনা জানুন। দয়া করে আমার জীবনটাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়ে আমার সন্তানদের এতিম করবেন না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার অকাল মৃত্যুর জন্য গভীর শোক প্রকাশ করছি ও তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আমাদের ছাত্রী অবন্তিকা এবং তাঁর সহপাঠীদের নিয়ে প্রকৃত ঘটনা নিচে তুলে ধরলাম- ঘটনা প্রায় দেড় বছর আগের। অবন্তিকার ব্যাচমেটরা কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে সেখানে অবন্তিকাও উপস্থিত ছিল। জিডিতে উল্লেখ করা হয় যে, কেউ একজন ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে তাদেরকে হয়রানি করে। পুলিশ তখন উচ্চতর তদন্তের আশ্বাস দিয়ে বলে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আইডিটা কে চালায় সেটা বের করে দেব। এই কথা শুনে অবন্তিকা থানা থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাসে আসার পথেই তার বন্ধুদের কাছে স্বীকার করে যে, আইডিগুলো (ফেইক একাউন্টসগুলো) সে নিজেই চালায়। তখন তার বন্ধুরা তাকেসহ প্রক্টর অফিসে নিয়ে এসে অবন্তিকার বিরুদ্ধে গত ০৮.০৮.২০২২ তারিখে একটা লিখিত অভিযোগ দেয়।

0 Comments

Your Comment