উন্নতি করতে নয়, জিততে এসেছি: শান্ত

টার্গেট ১৩৭। দুই টাইগার স্পিনার মেহেদি মিরাজ ও তাইজুলের ঘূর্ণিতে ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েন ব্ল্যাক ক্যাপসরা। তখন জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকেন টাইগাররা। কিন্তু ফিলিপসের ক্যাচ মিস করার পর ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে নাজমুল বাহিনী। পরে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি বাংলাদেশের। লেট অর্ডার ব্যাটার গ্লেন ফিলিপস ও মিচেল সান্তানার সপ্তম উইকেটে ৭০ রানের জুটি গড়ে নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটের অবিশ্বাস্য জয় উপহার দেন। এ জয়ে ১-১ ব্যবধানে শেষ হয়েছে সিরিজ। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে শান্তর কণ্ঠে ঝরেছে আগ্রাসী মনোভাবের প্রতিধ্বনি, ‘টেস্ট ক্রিকেটে তো আমরা উন্নতি করতে আসি নাই, জিততে আসছি। এইখানে জেতার জন্য আমাদের প্রস্তুতিটা কেমন হওয়া উচিত, তা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই ধরনের অ্যাডভান্টেজ অবশ্যই নেওয়া উচিত।’ ‘আমার মনে হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্র্যাকটিসের জায়গা না। এখানে ইম্প্রুভ করারও কিছু নাই যে ভালো উইকেটে খেলে আমরা ভালো ম্যাচ খেললাম। এখানে আমরা জেতার জন্য আসি।’ ঢাকা টেস্টে দুই দলই কোনো ইনিংসে দুই’শ পর্যন্ত যেতে পারেনি। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট হয়। নিউজিল্যান্ড করে ১৮০ রান। ৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয় মাত্র ১৪৪ রানে। এখানেই পিছিয়ে যায় স্বাগতিক শিবির। শেষ পর্যন্ত হারতে হয় ৪ উইকেটে। ব্যাটিংয়ের জন্য পিচ কঠিন ছিল। তবে যেভাবে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং মুখ থুবড়ে পড়েছে, এমনও ছিল না। কুয়াশা কাটিয়ে রোদ ফিরতেই উইকেট কিছুটা সহজ হচ্ছিল। শান্ত বলেন, ‘সিলেটের উইকেটটায় বোলারদের জন্য খুব বেশি হেল্প যে ছিল, তা বলব না। বোলাররা বোলিং করেছে, ব্যাটাররাও কষ্ট করে রান করেছে। দুই ধরনের হেল্পই ছিল।’ ‘এই টেস্টের কথা যদি বলি, আমরা ব্যাটাররা খুব একটা ভালো ব্যাটিং করিনি। প্রথম ইনিংসে ২৩০-২৪০ রানের উইকেট ছিল। ওই জায়গায় আমরা রানটা কম করার কারণে মনে হয়েছে উইকেটটা অনেক খারাপ। অবশ্যই নতুন বলে চ্যালেঞ্জ ছিল, প্রত্যেকটা সিচুয়েশনই থাকে, যখন আমরা অ্যাওয়েতে খেলি, তখনও নতুন বলের চ্যালেঞ্জটা থাকে। এখানে আলাদা কিছুই ছিল না। আমরা ব্যাটিংটা আরেকটু বেটার করলে হয়তো এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না’ -আরও যোগ করে শান্ত।

0 Comments

Your Comment