ডারবানে ২০০৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে লজ্জাজনক হার উপহার দিয়েছিল কানাডা। ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের অন্যতম বড় অঘটন হিসেবে ধরা হয় ওই ম্যাচটিকে। ক্রিকেট ঐতিহ্যে কানাডার ধারে কাছে নেই প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্র। অভিবাসীদের নিয়ে গড়া দলটির অধিকাংশ ক্রিকেটারই ভারত, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের। এমন অভিবাসীদের নিয়ে গড়া দলটি এবার প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ খেলছে। বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে নামার আগে যুক্তরাষ্ট্র গতকাল অঘটনের জন্ম দিয়েছে। টানা দুটি টি-২০ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে লজ্জাজনক সিরিজ হারে সিক্ত করেছে। ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি নাজমুলরা হেরেছিলেন ৫ উইকেটে। গতকাল ৬ রানে হেরেছে। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে লজ্জাজনক টি-২০ সিরিজ হার। আইসিসির সহযোগী এই দেশের বিপক্ষে টাইগারদের হতশ্রী ব্যাটিং যেন দলের আসল চিত্রটাই সামনে আনলো। তাইতো ম্যাচ শেষে নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না নাজমুল হোসেন শান্তর। ৬ রানের হার নিয়ে অধিনায়ক বলেন, ‘খুবই হতাশাজনক। মাঝের ওভারে আমরা উইকেট হারিয়েছি। আমার মনে হয় এই জায়গায় আমরা ম্যাচটা হাতছাড়া করেছি।’ শেষ ২৪ বলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান, হাতে ছিল ৫ উইকেট। সাকিব আল হাসান, জাকের আলির ব্যাটাররা তখনও উইকেটে ছিলেন। সেখান থেকে ১৩ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ১২ রান, হাতে মাত্র এক উইকেট। আলি খানের করা ওভারের প্রথম ২ বলে ৫ রান নিলেও তৃতীয় বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন রিশাদ হোসেন। ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে শান্ত বলেছেন, ‘এটা আসলে দক্ষতার ব্যাপার নয়। আমাদের মানসিকতা বদলাতে হবে। আশা করছি প্রথম দুই ম্যাচের চেয়ে ভালো কিছু পরের ম্যাচে দেখাতে পারব।’ ‘সত্যি কথা বলতে, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলিনি। তবে আমাদের হাতে আরও একটা ম্যাচ আছে। আমাদের ভালো পরিকল্পনা করে আসতে হবে। আশা করছি, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারব।’-আরও যোগ করেন শান্ত।
0 Comments
Your Comment