ভারতের বিপক্ষে লজ্জার হারের পর যা বললেন শান্ত

প্রথমবারের মতো টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখেছিলেন নাজমুলরা। এজন্য ভারতকে হারাতেই হতো। শুধু হারালে হতো না, হারাতে হতো পরের ম্যাচে আফগানিস্তানকেও। এবার আর সেমিফাইনাল খেলা হচ্ছে না টাইগারদের। সুপার এইটে ভারতের বিপক্ষে জীবনবাজির ম্যাচটি হেরেছে ৫০ রানে। এদিন টাইগারদের একাদশ দেখে বিস্মিৎ হওয়ার কথা যেকারো। একটিই পরিবর্তন, তাও আবার তাসকিন আহমেদের বদলে নেওয়া হয় জাকের আলি অনিককে। বাংলাদেশের একাদশে ছিলেন কেবল দুই পেসার। তিন স্পিনারের সবাই ব্যাট করতে জানেন। প্রথমে ব্যাট করে ১৯৬ রান করে ভারত। ওই রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ১৪৬ এর বেশি করতে পারেনি। কোনো ব্যাটার পাননি হাফ সেঞ্চুরির দেখাও। বাংলাদেশের খেলার ধরন দেখেও মনে হয়নি, জিততে পারবে তারা। ম্যাচশেষে নিজেদের কিছু করে দেখানোর চাওয়ার ঘাটতির কথা বলেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় হাতে অনেক ব্যাটিং বিকল্প ছিল। কিন্তু আমরা যেটুকু দরকার, তেমন ইন্টেন্ট দেখাতে পারিনি। আমি প্রতিটি ম্যাচেই অবদান রাখার চেষ্টা করেছি কিন্তু আমার উচিত ছিল শেষ করে আসা।’ টস জিতে বোলিং নেয় বাংলাদেশ। কত রানের ভেতর প্রতিপক্ষকে আটকে রাখার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের? শান্ত বলেন, ‘আমরা ১৬০-৭০ রানের ব্যাপারে ভেবেছিলাম, এমন কিছু আমাদের জন্য ভালো হতো। কিন্তু যেভাবে তারা ব্যাট করেছে, কৃতিত্ব দিতে হয়। খেলোয়াড়রা এ ধরনের আবহাওয়ায় (বাতাস) অভ্যস্ত। আমার মনে হয় না এটা কোনো ইস্যু।’ এক বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট এখন রিশাদ ও তানজিমের। দু'জনেরই সমান ১১টি করে উইকেট এবারের আসরে। ২০২১ সালে সাকিব আল হাসানের নেওয়া ১০টি ছিল এতদিন সর্বোচ্চ। ম্যাচশেষে দুই তরুণের প্রশংসা করে অধিনায়ক শান্ত বলেন, ‘তানজিম সাকিব এই টুর্নামেন্টে দারুণ কাজ করেছে। আমার রিশাদের নামও বলা উচিত। আমরা অনেকদিন ধরে লেগ স্পিনার খুঁজছিলাম, তাকে পেয়ে ভালো হলো।’

0 Comments

Your Comment