অনির্দিষ্টকালের জন্য আতশবাজি-পটকা-ফানুস নিষেধ

বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষ থার্টি ফার্স্ট নাইট উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো, ফানুস ওড়ানো এবং মশাল মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান ক্ষমতাবলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশ দেন। এতে বলা হয়েছে, যেহেতু আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে ৩১ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় নগরবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন আনন্দ উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন। এ আনন্দ উৎসব উদযাপনের নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি নিজস্ব সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে থাকে। সেহেতু আমি ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-৭৬) এর ২৮ ও ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টা থেকে শুভ বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো, ফানুস ওড়ানো ও মশাল মিছিল ইত্যাদি নিষিদ্ধ ঘোষণা করছি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে, গত কয়েক বছরে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের নামে ফানুস ওড়ানো, আতশবাজি, পটকা ফোটানোর ঘটনায় একাধিক দুর্ঘটনা ঘটে। গত বছর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন শুরুর কিছু সময়ের মধ্যে ঘটে যায় অনেকগুলো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। একসঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও জাতীয় জরুরিসেবা ৯৯৯-এর হটলাইন নম্বরগুলো ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে সারা দেশ থেকে প্রায় ২০০টি অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ও ৯৯৯-এর কন্ট্রোল রুম। ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারে, এসব অগ্নিকাণ্ডের বেশিরভাগ ঘটেছে ফানুসের কারণে। তবে কয়েকটি আগুন আতশবাজির কারণেও লেগেছে। এসব অগ্নিকাণ্ডের খবরের পর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের মধ্যেই ফানুস ওড়ানো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।

0 Comments

Your Comment