থামছেই না মশার উৎপাত

শীত শেষেও রাজধানীতে মশার উপদ্রব কমছে না। বরং বিভিন্ন এলাকায় মশার ঘনত্ব বেড়েছে। মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নগরবাসী বলছে, আসলে কিছুই করছে না সিটি করপোরেশন। শুধুই দর্শকের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ফলে রাজধানীতে মশা নিয়ন্ত্রণ বরাবরের মতোই প্রশ্নের মুখে থেকে যাচ্ছে। দুর্ভোগ বাড়ছে নগরবাসীর। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে গত চার মাসে কিউলেক্স মশার ঘনত্ব অনেক বেড়েছে। এ গবেষণার জন্য পাতা ফাঁদে জানুয়ারিতে প্রতিদিন গড়ে ৩০০টির বেশি পূর্ণবয়স্ক মশা ধরা পড়েছে। যার মধ্যে ৯৯ শতাংশই কিউলেক্স এবং বাকি ১ শতাংশ এডিস, অ্যানোফিলিস, আর্মিজেরিস ও ম্যানসোনিয়া। ডেঙ্গুর প্রকোপ না কমতেই এবার কিউলেক্স মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে রাজধানীবাসী। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়ি, রাস্তাঘাট কোথাও যেন নিস্তার নেই। বিশেষ করে সন্ধ্যা না হতেই এ মশার উপদ্রব বাড়ে। রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকার চিত্রই এমন। রাজধানীর উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের রিকশাচালক এমরান হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যার পরে রিকশা থামিয়ে কোথাও দুই মিনিটও বসা যায় না। মশা মনে হয় তুলে নিয়ে যাবে। যেদিন এলাকায় মশা তাড়াতে সিটি করপোরেশন থেকে ধোঁয়া দেওয়া হয়, সেদিন মশার উপদ্রব যেন আরও বেশি থাকে।’ মিরপুর গোলারটেক এলাকার বাসিন্দা জেসমিন আক্তার জানান, কয়েকদিন ধরে মশার উপদ্রবে তিনি অতিষ্ঠ। বিকাল হলেই ছয় মাসের সন্তানকে মশা থেকে বাঁচাতে মশারির ভিতরে রাখতে হয়। তিনি বলেন, ‘মশার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। বাচ্চাকে মশারির মধ্যে রেখেও রেহাই নাই। আমাদের এদিকে সিটি করপোরেশনের মশা কর্মীদের দেখা যায় না। মশার কামড়ে পরিবারের সবার ত্বকে দাগ পড়ে গেছে।’ শুধু এ দুই এলাকায় নয়, ঢাকার অধিকাংশ এলাকায় বেড়েছে কিউলেক্স মশার উপদ্রব। দেশে এডিস মশা সংক্রমিত রোগ ডেঙ্গুর প্রভাব কমে এলেও কিউলেক্স মশায় অতিষ্ঠ নগরবাসী। দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকায় এ মশার উপদ্রব দেখা যায়।

0 Comments

Your Comment