ক্রমেই সহিংস হচ্ছে নির্বাচনি পরিবেশ। গতকাল লালমনিরহাটে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলা, গাড়ি ও অফিস ভাঙচুর হয়েছে। কুমিল্লায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ ঘটেছে। আহত হয়েছে ১০ জন। একই দিন রাজশাহী, নওগাঁ ও মেহেরপুরে নৌকার তিন প্রার্থীর ক্যাম্পে আগুন দেওয়া হয়েছে। তিন জেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কয়েকটি ক্যাম্পে আগুন দেওয়া ও ভাঙচুর হয়েছে, সংঘর্ষ হয়েছে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে। চট্টগ্রামের একটি আসনে নৌকার প্রার্থীর স্ত্রী ও অন্য একটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা হয়েছে। ময়মনসিংহে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে বৈঠা দিয়ে পিটিয়েছে নৌকার সমর্থকরা। লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান, লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা উপকমিটির সদস্য এবং সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি আতাউর রহমানের ওপর হামলা, গাড়ি ও নির্বাচনি অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। হামলায় প্রার্থী গুরুতর আহত হন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় হাতীবান্ধার গড্ডিমারী মেডিকেল মোড় এলাকায় গণসংযোগকালে তার ওপর হামলা চালান গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল ও তার লোকজন। এ সময় গাড়ি ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল শ্যামলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন আতাউর রহমান প্রধান। তাঁর প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট, হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সরওয়ার হায়াত খান বলেন, ওই এলাকায় গণসংযোগে গেলে গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কতিপয় নেতা-কর্মী তাদের পথ রোধ করে গণসংযোগে বাধা দেন। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের ওপর হামলাসহ গাড়ি ও অফিস ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় শ্যামলকে কারণ দর্শানো নোটিস দিয়েছেন নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির প্রধান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত, লালমনিরহাট। অন্যদিকে লালমনিরহাট-২ আসনের প্রার্থী সিরাজুল হক অভিযোগ করে বলেছেন, সমাজকল্যাণমন্ত্রীর লোকজন তাঁর নির্বাচনি প্রচারকাজে বাধা দিচ্ছে। পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে, কর্মীদের প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে তিনিও রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন।
0 Comments
Your Comment