‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হলে বাধা দেওয়া হবে না-এমন ইঙ্গিত আসার পর লক্ষ্মীপুরে নৌকার বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন অন্তত এক ডজন আওয়ামী লীগ নেতা। এদের মধ্যে মনোনয়ন না পাওয়া সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান যেমন আছেন, তেমনি আছেন কেন্দ্রীয় নেতারাও। তবে শেষ পর্যন্ত কারা থাকছেন ভোটের মাঠে, সেটি নিশ্চিত হতে অপেক্ষা করতে হবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত। দলীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার চারটি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ৩৫ জন। এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ১০জন। লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদর আংশিক) আসনে ৮ জন, লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে ১০ জন এবং লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ৭ জন। গত ২৬ নভেম্বর দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের লক্ষ্মীপুরের ৪টি নির্বাচনী আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে চারজনের নাম ঘোষণা করেন। তারা হলেন- লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে ড. আনোয়ার হোসেন খান। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য। লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর-সদর আংশিক) আসনে অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য। ওই আসনে উপনির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তিনি বিগত সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। লক্ষ্মীপুর-৩(সদর) আসনে গোলাম ফারুক পিংকু আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। চলতি মাসের ৫ তারিখ আসনটির উপ-নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি) আসনে মনোনীত প্রার্থী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী। তিনি প্রথমবারের মতো প্রত্যক্ষ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন লাভ করেন। তবে এর আগে তিনি দশম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
0 Comments
Your Comment