বিএমডিএ প্রকৌশলীর ভুয়া ডিগ্রি, তদন্তের নির্দেশ মন্ত্রণালয়ের

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) প্রকৌশলী পিএইচডি না করেও নামের আগে ব্যবহার করছেন ডক্টরেট ডিগ্রি। তার দাফতরিক স্বাক্ষরের সব জায়গায় নামের আগে ‘ড.’ লিখছেন। বিএমডিএ’র ওয়েবসাইটেও নামের আগে ‌‘ড.’ লেখা আছে। অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম মো. আবুল কাসেম। তিনি বিএমডিএ’র প্রধান কার্যালয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ছিলেন। ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহারের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাটি তদন্তে নির্দেশনা দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর আগেও ২০২০ সালে আবুল কাশেমের পিএইচডি নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তদন্ত করতে নির্দেশনা দিয়েছিল মন্ত্রণালয়। সেই তদন্ত আলোর মুখ দেখেনি। আবারও একই ঘটনার তদন্তে ১০-১২ দিন আগে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিএমডিএ’র নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশীদ বলেন, চার বছর আগে অন্য একজন নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। তার সময়ে এমন চিঠি মন্ত্রণালয় থেকে এসেছে কি না, সেটি তিনি জানেন না। তবে ১০-১৫ দিন আগে মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি তিনি পেয়েছেন। আবুল কাসেম কোথায় পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন, পিএইচডির জন্য পড়াশোনা করলে এর জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়েছিলেন কি না, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে নামের আগে ‘ড.’ শব্দ ব্যবহার করছেন কি না-তা চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হবে। আবুল কাশেমের উত্তর পাওয়ার পর তিনি লিখিতভাবে মন্ত্রণালয়কে জানাবেন। বিএমডিএ সূত্রে জানা গেছে, আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি ব্যবহারের অভিযোগ পুরনো। এ নিয়ে ২০২০ সালে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন কৃষি মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২৫ জুন কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপকরণ-১ অধিশাখার তৎকালীন উপ-সচিব মো. আসাদুজ্জামান এক চিঠিতে বিএমডিএ’র নির্বাহী পরিচালককে বিষয়টি যাচাইয়ের নির্দেশ দেন। আবুল কাসেম পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে থাকলে তিনি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়েছেন কি না এবং অনুমোদন নিয়ে থাকলে তার সনদ ও গবেষণাপত্র (থিসিস) দাখিল করতে বলা হয়। এ ছাড়া নামের আগে ‘ড.’ শব্দের ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিনি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়েছেন কি না, সেটিও জানাতে বলা হয়।

0 Comments

Your Comment