বৈশ্বিক সামরিক শক্তি সূচকে তিন ধাপ এগোল বাংলাদেশ। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার (জিএফপি) ইনডেক্স ২০২৪ অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের ১৪৫টি দেশের মধ্যে সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৭তম। গত বছর এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪০তম। আর চলতি বছর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সামরিক শক্তিমত্তার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। জিএফপির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিশ্বের ১৪৫টি দেশের সামরিক সক্ষমতার সর্বশেষ সহজলভ্য সামরিক সরঞ্জাম, প্রতিরক্ষা বাজেট, সৈন্য সংখ্যাসহ বিভিন্ন ধরনের ৬০টির বেশি মাপকাঠির ওপর ভিত্তি করে চলতি বছরের সূচক তৈরি করা হয়েছে। এবার বাংলাদেশের স্কোর শূন্য দশমিক ৫৪১৯। চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতাকে এই সূচকের ভিত্তি হিসেবে ধরে নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জিএফপি। জিএফপির তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সক্রিয় সৈন্য রয়েছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার জন। ট্যাংক ৩২০টি ও সামরিক যান রয়েছে ১৩ হাজার ১০০টি। এছাড়া বাংলাদেশের কাছে সেল্ফ প্রোপেলড আর্টিলারি গান (এসপিজি) ২৭টি, মাল্টিপল লঞ্চ রকেট প্রোজেক্টর (এমএলআরএস) যান আছে ৭১টি। বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সক্রিয় সদস্য আছেন ২৫ হাজার ১০০ জন। আর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সক্রিয় সদস্য রয়েছেন ১৭ হাজার ৪০০ জন। সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়ে রয়েছে মিয়ানমার। প্রতিবেশী দেশটির স্কোর শূন্য দশমিক ৫২৫১ স্কোর। বরাবরের মতো এই সূচকে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (স্কোর ০.০৬৯৯)। আর দ্বিতীয় সামরিক ক্ষমতাধর দেশ নির্বাচিত হয়েছে রাশিয়া, তাদের স্কোর শূন্য দশমিক ০৭০২। আর শূন্য দশমিক ০৭০৬ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন। তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের আরেক প্রতিবেশী দেশ ভারত (স্কোর ০.১০২৩)। আর শূন্য দশমিক ১৪১৬ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। ৬ষ্ঠ যুক্তরাজ্য (স্কোর ০.১৪৪৩), জাপান ৭ম (স্কোর ০.১৬০১), তুরস্ক ৮ম (স্কোর ০.১৬৯৭), পাকিস্তান ৯ম (স্কোর ০.১৭১১) ও দশম স্থানে রয়েছে ইতালি (স্কোর ০.১৮৬৩)। অন্যদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের পটভূমিতে ১৪৫টি দেশের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর তালিকায় ১৮তম স্থানে রয়েছে ইউক্রেন। দেশটির স্কোর শূন্য দশমিক ২৫৯৮। আর এই সামরিক সূচকে সবচেয়ে কম শক্তিশালী দেশ হল ভূটান। দেশটি ৬ দশমিক ৩৭০৪ স্কোর নিয়ে ১৪৫তম স্থানে রয়েছে।
0 Comments
Your Comment