ভোগান্তির নাম শাহ্ আমানত সেতু

দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতটি উপজেলাসহ কক্সবাজার ও বান্দরবান এলাকার মানুষ শাহ্ আমানত সেতু দিয়ে নগরে প্রবেশ করে। কিন্তু ৫ মাস ধরেই টোলবক্সে টাকা আদায়ে ধীরগতির কারণে সেতুর দুই প্রান্তে তীব্র যানজট তৈরি হয়। প্রায় প্রতিদিন এক কিমোমিটার পর্যন্ত এই যানজটে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী লাখও যাত্রীকে পোহাতে হচ্ছে অন্তহীন দুর্ভোগ। অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগীদের অবস্থা হয় করুণ। যাত্রীদের অভিযোগ, এই যানজটের যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। সেতু কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে প্রতিদিন দীর্ঘ যানজট তৈরি হচ্ছে। পটিয়ার বাসিন্দা ব্যাংকার আরিফুর রহমান বলেন, আমি নিয়মিত বাড়ি থেকে শহরে অফিসে যাতায়াত করি। গত অন্তত ৫ মাস ধরেই আসা-যাওয়ার পথে টোলবক্সে দীর্ঘ যানজটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এটি অত্যন্ত বিরক্তিকর। কর্তৃপক্ষ চাইলে বিষয়টি সমাধান করতে পারে। আমরা মনে করি, তাদের অবহেলায় সমস্যাটি সমাধান করা হচ্ছে না। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, টোলপ্লাজার উত্তরে গাড়ির লাইন শাহ্ আমানত সেতুর মাঝ বরাবর পর্যন্ত চলে আসে। অন্যদিকে টোলের দক্ষিণে মইজ্জার টেক পর্যন্ত যানজট তৈরি হয়। এ সময় যানবাহনগুলো ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকে। আবছার নামে এক অটোরিকশা চালক বলেন, সেতু পারাপারের সময় প্রতিবারই অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট জ্যামে থাকতে হয়। এখানে অনেক সময় নষ্ট হয় বলে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই। সওজ চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বর্তমানে টোলবক্সে ৮টি ব্যারিয়ার আছে। এখানে নতুন করে আরও দুটি যুক্ত করে ১০টি করা হবে। ইতোমধ্যে নতুন ১০টি ব্যারিয়ার বিদেশ থেকে আনা হয়েছে। শিগগিরই এগুলো স্থাপন করা হবে। এগুলোর ব্যবহার শুরু হলে আর যানজট থাকবে না।

0 Comments

Your Comment