কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের মিয়ানমারের ওপারে চলছে মর্টারশেল ও ভারি গোলাগুলি আর এপারে বাংলাদেশের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের বসতবাড়িতে এসে পড়লো এলএমজি'র গুলি। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড উলুবনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে গৃহকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকাল থেকে টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া সীমান্তের মিয়ানমারের ওপারের মর্টারশেল ও ভারি গুলির শব্দ এপারে ভেসে আসতেছে। তিনি আরও জানান, হঠাৎ দেখি ভারি একটি গুলির শব্দ হলো। তখন দেখি আমার মেয়ের জামাইয়ের বসতঘরে টিনের দরজা ছিদ্র হয়ে বাড়িতে ডুকে পড়ে একটি গুলি। তখন আমরা আতঙ্কের মধ্যেই পড়ে যাই। পরে বিজিবির সদস্যরা খবর পেলে তারা এসে বসতঘরের ওঠান থেকে গুলিটা নিয়ে যায়। আমরা ভয়ে ও আতঙ্কে নিরাপদে সরে গেছি। স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মো. সোলেমান বলেন, মিয়ানমারের ওপারে গোলাগুলির শব্দে বাড়ি ঘরে থাকতে পারছিনা। শনিবার নুরুল ইসলামের বসতঘরে এসে পড়লো একটি গুলি। এর আগে, গত এক সপ্তাহে ধরে এ সীমান্তের ওপারে মর্টারশেল ও গুলির শব্দে অনিরাপদ মনে করছি। আমরা রাতে ও দিনের বেলায় সবসময় ভয়ের মধ্যেই থাকতে হচ্ছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু বলেন, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উলুবনিয়া, তুলাতুলি ও কাঞ্জরপাড়া সীমান্তের মিয়ানমারের ওপারের সপ্তাহ জুড়ে চলছে প্রচুর গোলাগুলি। ভয়ে আমরা বাড়ি ঘরে থাকতে পারতেছিনা এবং চিংড়ি ঘেরেও যেতে পারতেছিনা। সীমান্তের ওপারে ফায়ার চলাচলের সময় একটি গুলি এপারে উলুবনিয়ার নুরুল ইসলামের বসত ঘরে এসে পড়লো। এখনো সীমান্তের ওপারে চলছে ব্যাপক গোলাগুলি। টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপের আরেক ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, সীমান্তের ওপারে ব্যাপক গালোগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে সকাল ও সন্ধ্যায় গুলির শব্দ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, সীমান্তে ওপারে ব্যাপক গোলাগুলি চলছে। ফলে আমরা (বিজিবি) সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি, যাতে নতুন করে কোনও অনুপ্রবেশ না ঘটে।
0 Comments
Your Comment