রাত ১০টায় খুলে দেওয়া হবে কাপ্তাই বাঁধের গেট

টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ে স্রোতের কারণে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি এখন বিপদসীমার ঊর্ধ্বে। শনিবার রাত ১০টায় খোলা হবে কাপ্তাই কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেইট। এ গেইট দিয়ে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে ছাড়া হবে প্রায় ৯ হাজার সিএফএম পানি। তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে কাপ্তাই হ্রদের পানি আরও বৃদ্ধি পেলে ৩২ হাজার পানি নিষ্কাশিত করা হবে। অর্থাৎ কর্ণফুলী নীদে ছাড়া হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি টানা বৃষ্টি আর ভারত সীমান্তের পাহাড়ি স্রোতের কারণে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি। পানির স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ তীরবর্তী অঞ্চল অর্থাৎ রাঙামাটির ৫টি উপজেলা বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি, লংগদু ও বিলাইছড়ি। স্থানীয়দের তলিয়ে গেছে বসতঘর। ফসল, ফসলি জমি, গবাদি পশু, দোকান পাঠ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে চাপ বেড়েছে রাঙামাটি কাপ্তাই কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী গেইটে। রাঙামাটি কাপ্তাই কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে পানি রয়েছে ১০৭.৬৬ ফুট এমএসএল। যা বিপদ সীমার কাছাকাছি। শনিবার রাত ১০টার দিকে ১৬টি স্পিলওয়ের ৬টি গেইটই খুলে দিয়ে ৯ হাজার সিএফএম পানি কর্ণফুলী নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে। তাছাড়া বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি পানির চাপ বেশি থাকে, তাহলে আরও ৩২ হাজার সিএফএম পানি ছেড়ে দেওয়া হবে কর্ণফুলীতে।

0 Comments

Your Comment