সচল হলো সিলেটের স্থলবন্দর

অবশেষে শুল্ক বৃদ্ধি নিয়ে সিলেটের আমদানিকারক ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সমঝোতা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে নতুন করে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি শুল্ক (ইমপোর্ট অ্যাসেসমেন্ট রেট) নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি টন পাথর আমদানি শুল্ক ১২.২৫ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১২.৭৫ ডলার করা হয়েছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শুল্ক বৃদ্ধি করে টনপ্রতি ১৩ ডলার নির্ধারণ করায় ৮ জানুয়ারি থেকে সিলেটের ব্যবসায়ীরা পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রাখেন। শুল্ক নিয়ে সমঝোতা হওয়ায় আজ আমদানি শুরু হচ্ছে। পাথর ও চুনাপাথর আমদানি শুরু হওয়ায় ২৩ দিন বন্ধ থাকার পর ফের সচল হলো সিলেটের সব স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন। আমদানি শুরুর সিদ্ধান্তের সংবাদে পাথর ও চুনাপাথর আমদানির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সিলেটের অর্ধলক্ষাধিক শ্রমিকের মাঝেও স্বস্তি ফিরেছে। আমদানি বন্ধ থাকায় তারা বেকার হয়ে পড়েছিল। সিলেট বিভাগীয় স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনের ব্যবসা পরিচালনা সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক এমদাদ হোসেন জানান, মাত্র চার মাস আগে একবার শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছিল। চার মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণায় আমদানিকারকরা বিপাকে পড়েন। তাই বাধ্য হয়ে ৮ জানুয়ারি থেকে তারা সিলেটের দুটি স্থলবন্দর ও সাতটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রাখেন। এ নিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেও এত দিন কোনো প্রতিকার পাননি আমদানিকারকরা। সর্বশেষ গতকাল ব্যবসায়ীরা কাস্টমস কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে আলোচনা করে সমঝোতার মাধ্যমে নতুন শুল্ক নির্ধারণ করা হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি টন পাথরে দশমিক ৫০ ডলার বৃদ্ধি করে অ্যাসেসমেন্ট রেট ১২.৭৫ ডলার করা হয়েছে।

0 Comments

Your Comment