সমন্বয়কদের সাথে নিয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার তালা খুলে কার্যক্রম শুরু

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সাথে নিয়ে টাঙ্গাইল সদর থানা খুলে দিয়েছেন পুলিশ সুপার গোলাম সবুর। বুধবার সন্ধ্যায় সকলের উপস্থিতিতে তালা খুলে দেওয়ার পর কার্যক্রম শুরু হয়। এতে দুইদিন পর থানার কার্যক্রম শুরু হলো। জানা যায়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সোমবার বিকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে তারা থানা ঘেরা করতে যায়। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি, টিয়ারশেল এবং সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ সময় শিক্ষার্থীসহ দুইজন নিহত হয়। এতে এক পর্যায়ে সদর থানার সামনে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে পিছু হটে থানায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পুলিশ। খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল থানার পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে। এরপর থেকে থানার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পুলিশ সুপার গোলাম সবুর বলেন, সারা দেশে যে সমস্ত থানায় কার্যক্রম বন্ধ ছিল, সে সমস্ত থানা খুলে দ্রুত কার্যক্রম শুরু করার জন্য আইজিপি স্যারের নির্দেশনা ছিল। সে নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সকলের সহযোগিতায় টাঙ্গাইল সদর থানা খুলে দিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এ এম জহিরুল হায়াত, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান-বিন-মুহাম্মাদ আলী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল নুর তুষার, ইফফাত রাইসা নূহা, লুৎফুন নাহার তৃপ্তি, মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

0 Comments

Your Comment