হলফনামায় সম্পদের তথ্যে গরমিল

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা হলফনামায় সম্পদের যে তথ্য দিয়েছেন আগের নির্বাচনের সময় দেওয়া তথ্যের সঙ্গে তার কোনো মিল নেই। আবার দু-একজন প্রার্থীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৫০০ গুণ। আয়কর আইনজীবীরা বলছেন, সংসদ সদস্য প্রার্থীদের হলফনামায় উল্লেখ করা সম্পদের চেয়ে আরও অনেক বেশি সম্পদ রয়েছে। অধিকাংশ প্রার্থী সম্পদের প্রকৃত তথ্য গোপন করেছেন। আর যেটুকু উল্লেখ না করলেই হয় না, সেই সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেছেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চাইলে এসব প্রার্থীর আয়কর নথি পুনঃউন্মোচনা করে আইনের আওতায় আনতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, হলফনামায় দেওয়া সম্পদের তথ্য যাচাই করে দেখা উচিত সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে। হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বর্তমান সংসদের একজন সদস্য ২০১৮ সালের হলফনামায় ২৪ হাজার টাকা মূল্যের ৫০ শতাংশ ভূমি ও ৩০ লাখ টাকা মূল্যের দোতলা বাড়ি, ২৯ লাখ ৮২ হাজার ৩৫০ টাকা মূল্যের চারটি ফ্ল্যাট ও ১৬ লাখ টাকা মূল্যের চারটি ফ্ল্যাটের তথ্য উল্লেখ করেছিলেন। তিনি তার স্ত্রীর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর ও জমা ৪৬ লাখ ৯৬ হাজার ৮১৮ টাকা, উপহারের ৫ ভরি সোনা, ১ লাখ ৭ হাজার টাকা মূল্যের প্রায় ৯ কাঠা ও সাভারে ৫ কাঠা জমির তথ্য দেন। এর মধ্যে বাড়ি, দোকানসহ বিভিন্ন উৎস থেকে বছরে ৪ লাখ ৩২ হাজার ২২৮ টাকা পেতেন তিনি। ২০২৩ সালের হলফনামায় তিনি বাড়ি, দোকান ও বিভিন্ন উৎস থেকে বছরে ১২ লাখ ৪ হাজার ৭০৩ টাকা ভাড়া পাওয়ার তথ্য উল্লেখ করেছেন। তবে কয়টি বাড়ি, কয়টি ফ্ল্যাট, কয়টি দোকান ও ভাড়ার অন্যান্য উৎসগুলো তিনি উল্লেখ করেননি। শুধু তাই নয়, গোপন রেখেছেন স্ত্রীর সম্পদের হিসাবও। স্ত্রীর নামে তিনটি ফ্ল্যাট ও তিনটি কারপার্কিং রয়েছে বলে ২০১৮ সালে নির্বাচন কমিশনে তথ্য দিয়েছিলেন ওই সংসদ সদস্য।

0 Comments

Your Comment