ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জমিতে ছত্রাক আক্রমণ হওয়ায় আলুর ফলন নিয়ে আশঙ্কার মধ্যে পড়েছেন চাঁদপুরের কৃষকরা। চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী জানান, জেলায় এ বছর আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ১১০ হেক্টরে। লক্ষ্যমাত্রার চাইতে ৩৯০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ কম হয়েছে। সাধারণত নভেম্বরের মাঝিতে আলু রোপণ করা হয়। দুটি ঘূর্ণিঝড় ও অতি বৃষ্টির কারণে কৃষকরা এবার রোপণ করেছেন ডিসেম্বরের প্রথম দিকে। সময়মত রোপণ করতে পা পারায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তিনি বলেন, “কুয়াশার কারণে আলু ক্ষেতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ায় কৃষকদেরকে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক সহায়তা দিচ্ছি। সবকিছুর পরও আমরা কাঙ্ক্ষিত ফলন এবং গত বছরের মত জেলার চাহিদা পূরণ করে অন্য জেলায় সরবরাহের প্রত্যাশা করছি।” প্রতি বছরের মত এবারও জেলায় ১৩টি হিমাগারে ৮২ হাজার মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি মডেল ঘর আছে, সেগুলোতে কৃষকরা আলু সংরক্ষণ করতে পারবে বলে চাঁদপুর জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান রুপম জানান।
0 Comments
Your Comment