হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় সহপাঠীদের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেছে কলেজছাত্র রাইসুল হক তাহসিনের (১৯)। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডের চৌদ্দহাজারী মার্কেটের সামনে এ হত্যাকাণ্ড হয়। এর জেরে বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত দফায় দফায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। এসময় মার্কেট ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। নবীগঞ্জ শহরের নতুন বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার নবীগঞ্জ থানার এসআই সুমন সরকার কুর্শি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমানের মালিকানাধীন রাজ ম্যানশনে হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে যান। তখন আনমনু গ্রামের লোকজনের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হলে চেয়ারম্যান খালেদুর রহমান জানাজার নামাজের পর দক্ষ লোক নিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতে বলেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান চলে গেলে আনমনু গ্রামের লোকজন সিসিটিভি ছিনিয়ে নিতে চান। তবে রাজা ম্যানশনের লোকজন বাঁধা দেন। এরপর থেকেই শুরু হয় দফায় দফায় সংঘর্ষ। সংঘর্ষের সময় রাজা কমপ্লেক্স ও আনমনু গ্রামের বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। চার ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের লোকজন প্রচুর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। লোকজন দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করেন। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪৫ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ১৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এদিকে, বুধবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ জেকে উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে রাইসুল হক তাহসিনের জানাজার নামাজ শেষে তাকে দাফন করা হয়। নিহত রাইসুল হক তাহসিন (১৯) নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ও বানিয়াচং উপজেলার কালাইনজুড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং নবীগঞ্জ শহরের শেরপুর রোডের রাজন ওয়ার্কশপের স্বত্বাধিকারী রাজন মিয়ার ছেলে।
0 Comments
Your Comment