ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম ১০ দিনের ছুটি নিয়ে কর্মস্থল ছেড়েছেন। সোমবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে তিনি ঝিনাইদহ ছাড়তে বাধ্য হন। তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে মদদ দেওয়া, হাসপাতালের খাবার ও কেনাকাটায় দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিনের। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলামকে একাধিকবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা সতর্ক করে আসছিলেন। অভিযোগ উঠেছে রবিবার হাসপাতাল এলাকায় সাইকেল স্ট্যান্ডের ইজারা বাবদ এক নারী ঠিকাদারের কাছ থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এলমা খাতুন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম এর আগের কর্মস্থলে দুর্নীতির দায়ে বদলী হন। ঝিনাইদহে যোগদানের পর থেকে তিনি ওষুধ কেনাকাটা, খাবারের টেন্ডার, হাসপাতালের মেরামত ও নির্মাণে দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করেন। তিনি আরো জানান, ১৫ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শক্তি হাসপাতালের রোগীদের খাবার টেন্ডারের মাধ্যমে সরবরাহ করছে। এবছরও তাকেই কারসাজি করে টেন্ডার দেন। এছাড়া হাসপাতালের বিভিন্ন খাত থেকে তিনি মাসিক ঘুষ গ্রহণ করতেন বলেও অভিযোগ। এসব বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে তিনি ঝিনাইদহ ছাড়তে বাধ্য হন। তার অনুপস্থিতিতে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. আনোয়ারুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালন করবেন বলে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
0 Comments
Your Comment