টানা দুই মাস ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর আজ পহেলা মে থেকে আবার মাছ ধরা শুরু হয়েছে। পবিত্র রমজান মাস জুড়ে নদীতে মাছ ধরতে না পারায় ভোলার জেলে পল্লীগুলোতে ঈদের আনন্দ ছিল না। তবে মঙ্গলবার ৩০ মে মধ্যরাত থেকে নদীতে নেমেছেন জেলেরা। তাই জেলে পল্লীগুলেতে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। মাছের প্রজনন মৌসুম হিসেবে গত পহেলা মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস দেশের ছয়টি অভয়াশ্রমে সকল প্রকার মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তাই ভোলার মেঘনা নদীর ১০০ এবং তেতুলিয়া নদীর ৯০ মোট ১৯০ কিলোমিটার এলাকার অভায়শ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এতে করে প্রায় দেড় লক্ষাধিক জেলে বেকার হয়ে পড়েন। নিষেধাজ্ঞা শেষে পহেলা মে থেকে নতুন উদ্যোমে উৎসবমুখর পরিবেশে নদীতে মাছ শিকারে নেমেছেন জেলেরা। তারা আশা করছেন নদীতে প্রচুর মাছ পাবেন। তাতেই পিছনের ধার ধেনা পরিশোধ করে স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে। এদিকে জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে মৎস্য বিভাগ ৫২২টি অভিযান পরিচালনা করেছে। এতে আটক করা হয়েছে ৫৯৯ জন জেলেকে। এদের মধ্যে মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে ৪১৯ জনের বিভিন্ন মেয়াদে জেল এবং ৮৫ জনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ ছাড়া ২৬ লক্ষ মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে। গত অর্থবছর জেলায় মোট ইলিশের উৎপাদন হয়েছিলো ১ লাখ ৯১ হাজার মেট্রিক টন। যা দেশের মোট ইলিশ উৎপাদনের ৩৩ ভাগ। এবছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার মেট্রিক টন। অভায়শ্রমে মার্চ-এপ্রিলের নিষেধাজ্ঞা সফল হওয়ায় ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলেও আশা করছেন সংস্লিষ্টরা। অপর দিকে জেলোর সাত উপজেলায় দুই লক্ষাধিক জেলে থাকলেও এক লক্ষ ৬৮ হাজার ৩৭৫ জন জেলে নিবন্ধনের আওতায় এসেছেন। এর মধ্যে আবার প্রণোদনার চাল পাচ্ছেন মাত্র ৮৯ হাজার ৬৬০ জন জেলে। সকল জেলেকে নিবন্ধনের আওতায় আনার দাবি জেলেদের।
0 Comments
Your Comment