চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানায় ১৯ বছরের এক তরুণীকে পরিচয় গোপন করে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করার মামলায় স্বামীসহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরা এ রায় দেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নুরুল কবির (৩৩), মো. শহীদ (৩২), মো.শরীফ (৩২) ও মো. বাপ্পী (৩৪)। রায়ের সময় শহীদ ও শরীফ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাজা পরোয়ানামূলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। আদালত সূত্রে জানা যায়, জোরারগঞ্জ থানায় এক তরুণীকে ২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি আসামি নুরুল কবির নিজের পরিচয় গোপন করে তরুণীর বাড়িতে বিয়ে করেন। কাজী বিয়ের সময় তার জম্ম নিবন্ধনের কপি চাইলে বন্ধুদের সহায়তায় ভূয়া নাম ও ঠিকানা সম্বলিত জম্ম নিবন্ধন কপি কাজীকে এনে দেন। বিয়ের এক সপ্তাহ পর কবির তরুণীকে তার সঙ্গে শহরে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। পরে তরুণীকে একা রেখে পালিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয়রা নুরুল কবিরকে আটক করে। এ ঘটনায় তরুণীর স্বামী নুরুল কবিরসহ তার ৩ বন্ধুকে আসামি করে জোরারগঞ্জ থানায় প্রতারণা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে ২০১৫ সালের ১৫ মার্চ অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার বিচার শুরু হয়। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন বলেন, বিয়ে করে স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণার মামলায় ৮জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামীসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ের সময় নুরুল কবির ও মো. বাপ্পী আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানামূলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
0 Comments
Your Comment