বগুড়ায় বসতবাড়িতে বিস্ফোরণে আহত স্কুলছাত্রী তাসনিম বুশরা মারা গেছেন। শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তাসনিম বুশরা বগুড়া শহরের মালতীনগর মোল্লাপাড়া এলাকার আলী হোসেন বাবুর মেয়ে। সে মালতীনগর মাধ্যমি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। বনানী পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, মালতিনগর এলাকায় রেজাউলের বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় গুরুতর আহত স্কুলছাত্রী বুশরা ঢাকায় ছয়দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মারা যান। তার মরদেহ আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল রাতে মালতীনগর মোল্লাপাড়ায় রেজাউল করিমের বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় বুশরার সঙ্গে আরও তিনজন আহত হন। পরে এ ঘটনায় পুলিশ রেজাউলকে আসামিকে মামলা করে এবং তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম জানান, গত রবিবার রাতে রেজাউলের বাড়িতে হঠাৎ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে বাড়িতে থাকা তিন শিশুসহ চারজন গুরুতর আহত হয়। এছাড়াও রেজাউলের বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে পুলিশ ওই বাড়ি থেকে সুতলি দিয়ে পেঁচানো ২৪০ পিস বিস্ফোরক দ্রব্য, বিস্ফোরণ দ্রব্য তৈরির কাজে ব্যবহৃত ৪০ পিস ছোট ছোট কাগজ, পেঁচানো সুতলির পোটলা, একটি ভাঙা টিনের কৌটা এবং এক মাথা পোড়া একটি গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটর উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে মামলা করলে বাড়ির মালিক রেজাউলকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরও জানান, সোমবার রাত সোয়া আটটার দিকে ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের আট সদস্যের একটি টিম আসে। তারা বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে যান।
0 Comments
Your Comment