বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা থেকে সুন্দরবনের চাদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে আসা ৩১ কিশোর পর্যটককে ৯৯৯ ফোন পেয়ে ৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছের বনরক্ষীরা। সোমবার সকাল ১০টার দিকে গরম জল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের নিরাপত্তা রক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে সুন্দরবনের গহীনে ঢুকে পড়ে এই ৩১ কিশোর পর্যটক। একপর্যায়ে তারা সুন্দরবনের গহীন অরণ্যের দিকভ্রান্ত হয়ে হারিয়ে যায়। ওই কিশোরদের বয়সে বড় একজন উপায়ান্ত না দেখে কয়েক ঘণ্টা পর উদ্ধার করতে সাহায্য চেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন করে। ৯৯৯ থেকে দ্রুত তাদের উদ্ধারের জন্য বাগেরহাটের মোংলা পুলিশকে জানানো হয়। এরপর মোংলা থানা পুলিশ দ্রুত বিষয়টি করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার মোহাম্মদ আজাদ কবিরকে জানান। মোংলা থানা পুলিশ ও করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারিয়ে যাওয়া ওই ৩১ কিশোরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা তাদের মনবল না হারিয়ে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের হাত থেকে রক্ষায় গাছে উঠে নিরাপদে থাকতে বলেন। করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও বন রক্ষীরা নিরন্তন চেষ্টায় পাঁচ ঘণ্টা পর বিকাল ৩টার দিকে সুন্দরবনের গহীন অরণ্য থেকে তাদের উদ্ধার করে। পরে তাদের স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। মোংলা থানা পুলিশ ও করমজল কেন্দ্রের কর্মকর্তারা কেউই সুন্দরবনের গহীণে হারিয়ে যাওয়া এই ৩১ কিশোরের নাম ও বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেননি। সুন্দরবনের গরমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার মোহাম্মদ আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সুন্দরবনে ভ্রমণে আসা অনেক কিশোর পর্যটক অধিকাংশ সময় নিয়ম-নীতি মানে না। এসব কারণে দুর্ঘটনাও ঘটে থাকে। এই হারিয়ে যাওয়া কিশোররা বুদ্ধি করে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করার কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই আমরা তাদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। বাগেরহাটের চিতলমারীতে এসব পর্যটকদের বাড়ি। তাদেরকে স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
0 Comments
Your Comment