দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘিরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ৮৫ শতাংশের বেশি পরিচালিত হয়। কিন্তু ২৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়ক প্রয়োজনের তুলনায় সম্প্রসারণ না হওয়া, যত্রতত্র হাটবাজার, অবৈধ ও ধীরগতির যান চলাচল, উল্টোপথে যান চলাচল, অপরিকল্পিত ইউটার্নসহ নানা অব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কটি পরিণত হয়েছে ‘লোকাল সড়কে’। ফলে ব্যাহত হচ্ছে পণ্য আমদানি-রপ্তানি। নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান সময় ও জ্বালানি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে দ্রুত সময়ের মধ্যে আট লেনে উন্নীতকরণ এবং ডেডিকেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম থেকে আমাদের সংবাদকর্মী মুহাম্মদ সেলিম ও আজহার মাহমুদ জানান, দেশের জিডিপির ৫০ শতাংশই ঢাকা ও চট্টগ্রাম ঘিরে আবর্তিত। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার কেন্দ্রিক নানা উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে এ মহাসড়কের ওপর চাপ ও এর গুরুত্ব ক্রমেই বাড়ছে। অথচ যত্রতত্র সড়ক দখল, অবৈধ হাটবাজার, পার্কিং, উল্টোপথে যান চলাচল, অপরিকল্পিত ইউটার্ন এবং প্রয়োজনীয় ওভারপাস-আন্ডারপাস না থাকায় মহাসড়কের বৈশিষ্ট্য হারিয়েছে সড়কটি। মহাসড়কের ২৫৬ কিলোমিটারের দুই পাশে বাজার রয়েছে ২৭টি। এর মধ্যে ১০টির অধিক বাজারে যানজট নিত্যসঙ্গী। ওই বাজারগুলোয় পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার ভিড়, বাজার এলাকায় ট্রাক, ভ্যান, সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা এবং লোকজনের মহাসড়কের ওপর দিয়ে চলাচলের কারণে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়িগুলোর গতি নামিয়ে আনতে হয় ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটারে। এর চাপ পড়ে মহাসড়কজুড়ে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোয় ওভারপাস কিংবা আন্ডারপাস না থাকায় তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। মহাসড়কের সীতাকুণ্ড, ভাটিয়ারী, বাড়বকুণ্ড, মিরসরাই, বারইয়ারহাট, চৌদ্দগ্রাম বাসস্ট্যান্ড, চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড, নিমসার বাজার, পদুয়ার বাজার, মদনপুর মোড়, সোনারগাঁ মোড়, গৌরীপুর বাজার, ইলিয়টগঞ্জ বাজার, মাধাইয়া বাজার, গজারিয়া ভবেরচর, সোনারগাঁ, সাইনবোর্ড, শিমরাইল, কাঁচপুরে যানজট এ মহাসড়কের সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
0 Comments
Your Comment