গ্রীষ্মকালীন পিঁয়াজ আবাদ বাড়ছে

মিসর, চীন কিংবা ভারত থেকে আমদানি করা নয়; এখন লাল বা গাঢ় খয়েরি লাল রঙের বড় আকারের পিঁয়াজ দিনাজপুরে চাষ হচ্ছে। চাহিদা থাকায় গ্রীষ্মকালীন পিঁয়াজ চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। খরিপ মৌসুমে নাসিক এন-৫৩ জাতের পিঁয়াজ চাষের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়ে এবার কৃষকের সাফল্য এসেছে। এ পিঁয়াজ চাষে কৃষক যেমন লাভবান হচ্ছে, তেমন আমদানিনির্ভরতা কমবে এবং পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। পিঁয়াজ সংকট কমাতে নাসিক এন-৫৩ জাত চাষে কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করছে। চিরিরবন্দরের দক্ষিণ নশরতপুর গ্রামের জগদীশ মেম্বারপাড়ার কৃষক গণেশ চন্দ্র রায় এ জাতের পিঁয়াজ চাষ করে হয়েছেন সফল। তিনি ১৭ শতাংশ জমিতে নাসিক এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পিঁয়াজ চাষ করেছেন। তার খেতের প্রতিটি পিঁয়াজের ওজন ২০০-২৫০ গ্রাম। তাকে দেখে অন্য চাষিরাও এ জাতের পিঁয়াজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন, জানান গণেশ চন্দ্র রায়। নশরতপুর ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. খাদেমুল ইসলাম বলেন, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে বাজারে যখন শীতকালীন পিঁয়াজের সরবরাহ কম থাকে সে সময় নাসিক এন-৫৩ জাতের পিঁয়াজ ভোক্তার চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জুলাই-আগস্টে বীজ বপন করে ২৫-৩০ দিন বয়সের চারা রোপণ করতে হয়। ৯০ দিনের মধ্যেই এ পিঁয়াজ সংগ্রহ করা সম্ভব। প্রথম পর্যায়ে রোপণ করা পিঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় গ্রীষ্মকালীন এ পিঁয়াজের আকার, স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিমান অনেক উন্নত। কৃষিপ্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ বছর ১৫০ জন কৃষককে ১ কেজি করে নাসিক এন-৫৩ জাতের পিঁয়াজ বীজসহ ডেপ, পটাশ সার, পলিথিন ও অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা বলেন, ‘নাসিক এন-৫৩ জাতের পিঁয়াজ চাষে সফলতা পাওয়া গেছে। এতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কৃষক খুশি। পরিপক্ব হলে প্রতিটির ওজন ২৫০ গ্রাম ছাড়িয়ে যায়। বর্তমানে পিঁয়াজের বাজারদর ভালো হওয়ায় আমরা কৃষককে বিক্রির পরামর্শ দিচ্ছি। সংকট কমাতে এ জাতের পিঁয়াজ চাষে কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছে।’

0 Comments

Your Comment