রমজানের শুরু থেকেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস ও মুরগি। সবজির দামও আগের মতো এখনো বাড়তি রয়েছে। এদিকে রোজার আগে হুট করেই বেড়েছিল চালের দাম। মাঝে কিছুটা কমলেও ফের বেড়েছে গুটি, নাজিরসহ সব ধরনের চালের দাম। কেজি প্রতি দুই থেকে তিন টাকা হারে বেশি গুনতে হচ্ছে ক্রেতাকে। গতকাল রাজধানীর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি কক মুরগির দাম ৩৪০ টাকা। জীবন্ত অবস্থায় ওজন করে খাসি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা কেজি দরে। বিক্রেতাদের মতে, রমজানের শুরুর দিকে এক লাফে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম। যা এখনো বলবৎ আছে। এদিকে ব্রয়লারের বাজারে ওঠানামা না থাকলেও পুরোপুরি বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে গরুর মাংসের বাজারে। রাজধানীর গরুর মাংস ব্যবসায়ীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় উত্তর শাহজাহানপুরের ব্যবসায়ী মো. খলিল। ৫৯৫ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। পেয়েছেন পুরস্কারও। হুট করে কেজিতে ১০০ টাকা দাম বাড়িয়েছেন এই ব্যবসায়ী। আবার সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দিয়ে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে গরুর মাংস। রাজধানীর ৩০টি স্থানে প্রতিদিন এই মাংস বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে গরুর মাংসের সর্বোচ্চ দামও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ৬৬৪ টাকার বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রি করা যাবে না বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এর প্রতিপালন একেবারেই নেই। রাজধানীর বেশির ভাগ বাজারেই গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের বাজারে ফের অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। রোজার আগে হুট করেই বেড়েছিল চালের দাম। মাঝে কিছুটা কমলেও ফের বেড়েছে গুটি থেকে নাজিরসহ সব ধরনের চালের দাম।
0 Comments
Your Comment