কম খরচে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষিপণ্য পৌঁছে দিতে বিশেষ ট্রেন চালু করেছে রেলওয়ে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকাল সোয়া ৯টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেল স্টেশনে উদ্বোধন করা হয় রাজশাহী কৃষি স্পেশাল ট্রেন। ট্রেনটির উদ্বোধন করেন রেলওয়ে পশ্চিম রাজশাহীর ট্রেন ইন্সপেক্টর (টিআই) শামিম আহম্মেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমার্শিয়াল অফিসার (এসিও) নূরে আলম। রহনপুর রেল স্টেশনের বুকিং সহকারী রাকিব জানায়, কৃষি স্পেশাল ট্রেনটিতে কোনো পণ্য বুক করেনি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ফলে পণ্য ছাড়াই ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। রাজশাহী রেল স্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী আব্দুল মোমিন বলেন, ট্রেনটিতে প্রারম্ভিক স্টেশন রহনপুর থেকে পণ্য ছাড়াই ছেড়ে এসেছে। রাজশাহীসহ পথে ট্রেনটিতে কোনো পণ্য বুক হয়নি। পণ্য ছাড়াই রাজশাহী রেল স্টেশন ছেড়েছে ট্রেনটি। পশ্চিম রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম রেলে ৩টি কৃষিপণ্য ট্রেন চালু করেছ পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে। এর মধ্যে গত ২২ অক্টোবর যশোর থেকে প্রথম আনুষ্ঠানিক যাত্রা করে কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন। ২৬৮ কেজি পণ্য নিয়ে যশোর ছেড়ে যায় ট্রেনটি। ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় থেকে উদ্বোধন করা হয় পঞ্চগড় কৃষি স্পেশাল ট্রেন। পণ্য ছাড়াই ট্রেনটি উদ্বোধন শেষে গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। শনিবার উদ্বোধন করা রাজশাহী কৃষি স্পেশালের একই দশা। এই ট্রেনটিও পণ্য ছাড়াই ছেড়ে গেছে। তথ্যানুযায়ী প্রতি কৃষি স্পেশাল ট্রেনে আপ ও ডাউনে জ্বালানি তেল খরচ হয় ২৪০০ লিটর। আর সব মিলিয়ে রেলের ব্যয় ২ লাখের অধিক টাকা। কৃষিপণ্য চাষী ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজশাহী থেকে ঢাকায় কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য কেজিপ্রতি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা। প্রতি কেজি পণ্য ট্রেনে পরিবহন করতে ভাড়ার পাশাপাশি কুলি, মাঠ থেকে স্টেশন ও স্টেশন থেকে মোকামের আলাদা পরিবহন খরচ পড়ে যাচ্ছে কেজি প্রতি ৩ থেকে সাড়ে ৩ টাকার বেশি। অথচ সড়কপথে ট্রাকে পণ্য পরিবহন করতে তাদের খরচ হয় কেজিপ্রতি দুই-আড়াই টাকা।
0 Comments
Your Comment