বস্ত্র খাতের পাঁচ ধরনের পণ্য রপ্তানিতে ভর্তুকি প্রত্যাহার

বস্ত্র খাতের পাঁচ ধরনের পণ্য রপ্তানিতে ভর্তুকি তুলে নেওয়া হয়েছে। ভর্তুকির হার কমানো হয়েছে অন্য সব খাতেও। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, বস্ত্র খাতের ৬১০৫, ৬১০৭, ৬১০৯, ৬১১০ ও ৬২০৩ এই পাঁচটি কোডে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে না। দেশের রপ্তানি বাণিজ্য উৎসাহিত করতে ৪৩টি পণ্য ও খাতে নগদ সহায়তা দিচ্ছে সরকার। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হলে কোনো ধরনের নগদ সহায়তা দেওয়া যাবে না। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটতে যাচ্ছে। উত্তরণের পর সম্পূর্ণ নগদ সহায়তা একবারে প্রত্যাহার করলে রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে। যে কারণে বিভিন্ন খাতে নগদ সহায়তার হার অল্প অল্প করে কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আগামী ৩০ জুন জাহাজি করা পণ্যে নতুন হার প্রযোজ্য হবে। নতুন হার অনুযায়ী, রপ্তানিমুখী দেশি বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্রব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। আগে যা ৪ শতাংশ ছিল। ইউরো অঞ্চলে বস্ত্র খাতের রপ্তানিকারকদের প্রণোদনার হার ৩ শতাংশের অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তাও ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে। নিট, ওভেন ও সোয়েটারসহ তৈরি পোশাক খাতের সব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে অতিরিক্ত ৪ শতাংশই বহাল থাকবে। তবে নতুন পণ্য বা নতুন বাজারে ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৩ শতাংশ। তৈরি পোশাক খাতে বিশেষ নগদ সহায়তা ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। তবে এসব খাতে নির্ধারিত পাঁচটি এইচএস কোডের রপ্তানির বিপরীতে কোনো নগদ সহায়তা মিলবে না।

0 Comments

Your Comment