আমদানি পর্যায়ে নিত্যপণ্যের শুল্ক কমানো হলেও বাজারে বিশৃঙ্খলার কারণে দাম কমছে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বাজারে এতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে, মানুষ বলছে দাম কমছে না, অথচ এনবিআর অনেক সুবিধা দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাকে বললাম, বাজারে দাম কমানো শুধু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। এখানে অনেকগুলো ফ্যাক্ট আছে। ট্যাক্স কমিয়ে দিলাম, তার পরও নিত্যপণ্যের দাম কমে না। মানুষ অধৈর্র্য হয়ে গেছে, এটাই স্বাভাবিক’। গতকাল পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত ‘পিকেএসএফ দিবসের’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান। বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফের প্রতিষ্ঠাতা এমডি বদিউর রহমান, স্বাগত বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের। পিকেএসএফ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে অর্থায়ন’। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, দুই অঙ্কে পৌঁছে যাওয়া মূল্যস্ফীতিতে লাগাম দিতে সরকার আমদানি পর্যায়ে চালের পাশাপাশি পিঁয়াজ, আলু আর ভোজ্যতেলের শুল্ক কমিয়েছে। কিন্তু তার কোনো প্রভাব খুচরা বাজারে নেই। বরং গত এক মাসে আলুর দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা, চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা, খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ থেকে ১২ টাকা, পিঁয়াজের দাম ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, রসুনের দাম ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। এসব পণ্যের দর বৃদ্ধি স্বল্প আয়ের মানুষের জীবন আরও কঠিন করে তুলেছে, কারণ স্বল্প আয়ের মানুষ তাদের খাদ্যের পেছনে ব্যয়ের বেশির ভাগ খরচ করেন এসব পণ্য কিনতেই। ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ট্যাক্স কমিয়ে দিলাম, তার পরও নিত্যপণ্যের দাম কমে না। মানুষ অধৈর্র্য হয়ে গেছে, এটাই স্বাভাবিক। প্রধান উপদেষ্টাকে বললাম, বাজারে দাম কমানো শুধু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। এখানে অনেকগুলো ফ্যাক্ট আছে। মানুষের কষ্ট হচ্ছে, ৫০০ টাকা নিয়ে বাজারে গেলে দুমুঠো শাক, অন্যান্য কিছু কিনতে টাকা শেষ। আমি চেষ্টা করছি বাজারে দাম কমানোর জন্য।
0 Comments
Your Comment