পিঁয়াজের বাজার আবারও অস্থির। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মসলাপণ্যটির দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পিঁয়াজের দাম কেজিতে আরও ১০ টাকা বেড়েছে। তিন থেকে চারটি কারণে বাজারে এর দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে কারওয়ান বাজারের পাইকারি পিঁয়াজের বাজারে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) পাবনার পিঁয়াজ ৫৭০-৫৮০ টাকা, রাজশাহীর পিঁয়াজ ৫৬০-৫৭০ টাকা ও ফরিদপুরের পিঁয়াজ ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পিঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে- বন্যা, বৃষ্টি ও সরবরাহ কম থাকাকেই দায়ী করছেন বিক্রেতারা। কারওয়ান বাজারে রাসেল নামের এক বিক্রেতা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে কৃষকরা হাটে কম পিঁয়াজ বিক্রি করছেন। যে কারণে বাজারে সরবরাহের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে পিঁয়াজ নষ্টও হচ্ছে। তাই দামও বাড়ছে। এদিকে, দিনাজপুরের হিলিতেও পিঁয়াজের দাম বেড়েছে। হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুই দিন আগে বন্দরে আমদানি পিঁয়াজ প্রকারভেদে ৭২-৭৮ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, বর্তমানে তা বেড়ে কেজিতে ৮৮-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘দেশি পিঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেশের বাজারে আমদানি ভারতীয় পিঁয়াজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী, আমদানি বাড়ছে না। তাই দেশের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে পিঁয়াজের দাম।’ হিলি বাজারের পিঁয়াজ বিক্রেতা আবুল হাসনাত বলেন, ‘দেশে পিঁয়াজ আমদানির পরিমাণ কম। সেই সঙ্গে আমদানি পিঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সে সুযোগে মোকামে অতি মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা দেশি পিঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন। এছাড়া দেশি পেঁয়াজের মৌসুমও শেষ পর্যায়ে। তাই বাড়তি দামের আশায় স্বল্প পরিমাণে পিঁয়াজ বাজারে সরবরাহ করছেন কৃষকরা। মোকামে দুদিন আগেও পিঁয়াজের দাম ছিল মণপ্রতি ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৯০০ টাকা। বর্তমানে তা ৫০০-৬০০ টাকা বেড়ে প্রতি মণ পিঁয়াজ ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি দামে পিঁয়াজ কেনায় আমাদেরও সে অনুযায়ী বিক্রি করতে হচ্ছে।’ প্রসঙ্গত, অভ্যন্তরীণ বাজারে পিঁয়াজের সংকট ও দাম বাড়ার কারণে গত ৭ ডিসেম্বর পিঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ভারত সরকার। চলতি বছরের ৪ মে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
0 Comments
Your Comment