রোজার আগেই খেজুরের বাজারে অস্থিরতা

ব্যাপক গুনাগুন সম্বৃদ্ধ খাবার হিসেবে খেজুর এখন জনপ্রিয় খাবার। দেশে খেজুরের চাহিদা রয়েছে ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ মেট্রিক টন যা রমজানেই চাহিদা রয়েছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন। চাহিদার সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে খেজুরের দাম। রমজানের মাসখানেক আগেই অস্থিরতা দেখা দিয়েছে খেজুরের আড়ত ও পাইকারি বাজারে। ডলার সংকট, বুকিং রেট ও পরিবহন ব্যয় বেশি ইত্যাদি নানা কারণ দেখিয়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে খেজুরের। গত বছর ভালো মানের যে আজওয়া, মরিয়ম খেজুর ৫০০-৭০০ টাকা পাইকারিতে বিক্রি হয়েছে তা এখন দেড় হাজার টাকার বেশি। সরেজমিন দেখা গেছে, স্থায়ী খেজুরের দোকান, মসজিদ কেন্দ্রিক ভাসমান খেজুরের দোকানগুলোতে বিক্রি কমে গেছে। করোনার পর রিকশাভ্যানে, ফুটপাতে যেভাবে খেজুর বিক্রি হয়েছিল তা-ও এখন চোখে পড়ে না। কারণ হিসেবে দোকানিরা বলছেন, দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা কম কিনছেন। তবে সুপারশপ, বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, পাইকারি দোকান ও আড়তে ভালো মানের খেজুরের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। খেজুরের দাম বাড়া নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ব্যপক অসন্তোষ দেখা দিলেও বিক্রেতারা বলছে পাইকারি বাজারে দাম বেশি রাখায় তাদেরকে দাম বেশি রাখতে হচ্ছে। অন্যদিকে পাইকারিরা বলছে আমদানি ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া ও এলসি জটিলতায় বেড়েছে খেজুরের দাম। সূত্র জানায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে খেজুর এসেছিল ৮৮ হাজার ৯৬১ টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আসে ৮৪ হাজার ১৫১ টন। একজন আমদানিকারক জানান, খেজুর আমদানি কমার অনেক কারণ আছে। প্রথমত খেজুরের চালানের শুল্কায়নে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এখন মানভেদে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২৭৫ টাকা পর্যন্ত শুল্ক দিতে হচ্ছে। একসময় ভালো মন্দ সব খেজুরের শুল্কহার ছিল নামে মাত্র। ডলারের দাম বেড়েছে, খেজুরের বুকিং রেট বেড়েছে, ফ্রেইট বেড়েছে, রেফার কনটেইনারে খরচ, মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এদিকে বিভিন্ন স্থানে জাত, আকার ভেদে খুচরায় খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত।

0 Comments

Your Comment