সংকট মোকাবিলায় রোজার আগেই ভারত থেকে চিনি ও পিঁয়াজ আনতে চাইছে সরকার। দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে জরুরিভিত্তিতে পণ্য দুটি আমদানির উদ্যোগ নিতে দিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাসে চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। রবিবার এ চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। সূত্র জানায়, নির্বাচিত সরকারের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আহসানুল ইসলামকে টেলিফোনে অভিনন্দন জানান পার্শ্ববর্তী ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযুষ গয়াল। এ সময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে ভারতের সহায়তা চান। প্রাকৃতিক দুর্যোগে উৎপাদন কম হওয়ায় ভারত পিঁয়াজ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বাংলাদেশর ক্ষেত্রে সেই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে যাতে পণ্যটি আমদানির সুযোগ দেওয়া হয়, সেই অনুরোধ জানানো হয় ভারতীয় বাণিজ্যমন্ত্রীকে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় ১ লাখ মেট্রিক টন চিনি ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন পিঁয়াজ সরবরাহের অনুরোধ জানানো হয় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। ভারত ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি ও ২০ হাজার মেট্রিক টন পিঁয়াজ রপ্তানির বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রতিশ্রুত পণ্য দুটো যেন রোজার আগেই বাংলাদেশে আমদানি করা যায় সে লক্ষ্যে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত করতে দিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাসে চিঠি পাঠানো হয়। আসন্ন রমজানে যে কয়েকটি পণ্যের দাম নিয়ে সরকারের মধ্যে অশ্বস্তি রয়েছে তার মধ্যে পিঁয়াজ ও চিনি অন্যতম। বাজারে মুড়িকাটা জাতের নতুন পিঁয়াজ আসার পরও দাম কমছে না। বর্তমানে নতুন পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। গত বছর এই পিঁয়াজের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি। অপরদিকে দ্বিগুণ বেড়ে বর্তমানে প্রতি কেজি চিনি দেড় শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য থেকে নিম্নআয়ের মানুষকে সুরক্ষা দিতে সরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান টিসিবির মাধ্যমে ১ কোটি মানুষকে ন্যয্যমূল্যে পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। ১৭ জানুয়ারি নতুন বছরের টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। চাল, ডাল ও ভোজ্যতেল এ তিনটি পণ্য দিয়ে বিক্রি কার্যক্রম শুরু হলেও গত সপ্তাহ থেকে কার্ডধারীদের ভর্তুকিমূল্যে পিঁয়াজ বিক্রি করছে টিসিবি। ৫০ টাকা কেজি দরে একজন কার্ডধারী সর্বোচ্চ ৪ কেজি পরিমাণ পিঁয়াজ নিতে পারছেন। ভারত থেকে আমদানি শুরু হলে টিসিবি পিঁয়াজের পাশাপাশি চিনিও সরবরাহ করবে বলে জানা গেছে।
0 Comments
Your Comment